বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কে বলবে বয়স বাড়ছে, ঈগর স্টিমাচের দলকে একা হাতে যেন টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন অধিনায়ক সুনীলই। ফের একবার মালদ্বীপের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে ভারতের ভরসা হয়ে উঠলেন এই বুড়ো ঘোড়া। শুধু তাই নয় একইসঙ্গে গড়ে ফেললেন এক বিরল রেকর্ডও। সাফ কাপের ফাইনালে পৌঁছাতে গেলে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে জয় দরকার ছিল ভারতের। অন্যদিকে ঘরের মাঠে আলি আসফাকরা যদি ভারতের বিরুদ্ধে ড্র করতে পারতেন তাহলেই ফাইনাল নিশ্চিত ছিল তাদের।
নেপালের বিরুদ্ধেও তেমন বড় ব্যবধানে জয় পায়নি ভারতীয় দল। মাত্র ১-০ গোলে জয় তুলে নিয়ে কোনমতে ভারতের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সুনীল। ফলে অনেকেই ভেবেছিল মালদ্বীপের ঘরের মাঠে লড়াইটা কঠিন হবে ভারতের জন্য। তবে এদিন শুরুটা ভালই করেছিল ভারতীয় দল। ৩৩ মিনিটের মাথায় কাউন্টার অ্যাটাকে দুরন্ত গোল করে প্রথমবার ভারতকে খাতা খুলতে সাহায্য করেন মনবীর। যদিও প্রথমার্ধ শেষ হবার আগেই কাম ব্যাক করেছিল মালদ্বীপও। ৪৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে মালদ্বীপকে গোল এনে দিয়ে সমতা ফেরান আলি আসফাক।
ফলে ভারতের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠছিল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ। তবে এদিন ফের একবার ভারতের ত্রাতা হয়ে ওঠেন বর্ষিয়ান সুনীল ছেত্রী। ৬২ মিনিটের মাথায় গোল করে ফের একবার ভারতকে ব্যবধান বাড়াতে সাহায্য করেন তিনি। শুধু তাই নয় এই গোলের সাথে সাথে একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিংবদন্তি পেলের রেকর্ডও ভেঙে দিলেন ছেত্রী। নেপালের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের পেলেকে ছুঁয়ে ফেলে ছিলেন এই প্রবীণ তারকা। আর সাফ কাপের এই ম্যাচে তাকেই টপকে গেলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্রাজিলের হয়ে মোট ৭৭ টি গোল রয়েছে কিংবদন্তি পেলের। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে নিয়ে ম্যাচ শেষে সুনীলের গোল সংখ্যা দাঁড়াল ৭৯।
কারণ এই ম্যাচেরই শেষ পর্যায়ে ৭১ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ভেসে আসা বলে দুরন্ত হেড করে ফের একবার ভারতের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন সুনীল। এরপর আর ম্যাচে কাম ব্যাক করতে পারেনি মালদ্বীপ। কার্যত ৩-১ গোলে ভারতের বিরুদ্ধে হার স্বীকার করতে হয় তাদের। যদিও শুভাশীস বোস দুবার হলুদ কার্ড দেখায় ম্যাচ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফলে বেশ কিছুক্ষণ ১০ জনের দল নিয়েও খেলতে হয় ভারতকে। তবে ভারতের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের নতুন করে কোনো অঘটন ঘটাতে পারেনি। ফলে এবার ফাইনালে নেপালের মুখোমুখি হতে চলেছে সুনীল ছেত্রীদের দল।