বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটি মাত্র ক্যালেন্ডারেই (Calendar) দেখা যাবে পৃথিবীর সমস্ত তারিখ! সেই হিসাবের নড়চড় হবে না কোনো কালেই। এমনই অবাক করে দেওয়া ক্যালেন্ডার (Calendar) তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দিল সিউড়ির (Suri) ছাত্র আত্রেয় ঘোষাল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহজ এই ‘অনন্ত ক্যালেন্ডার’ তৈরি করে আত্রেয় অর্জন করেছেন ভারতীয় পেটেন্ট।
বিস্ময়কর ক্যালেন্ডার (Calendar) তৈরি পড়ুয়ার
সিউড়ি সেহেড়াপাড়ার বাসিন্দা আত্রেয়। বর্তমানে জয়পুরের মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে। সিউড়ির স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আত্রেয় আকর্ষণ অনুভব করেন গণিতের প্রতি। কলেজের প্রথমবর্ষে তাদের নতুন কিছু প্রজেক্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন আত্রেয়র মনে আসে এক বন্ধুর সাইকেল রিংয়ের কথা।
আরোও পড়ুন : শুরুর আগেই শেষ! অনির্বাণের সাথে বিয়ে ভাঙা, সুস্মিতার কাছে আশীর্বাদ?
আত্রেয়র কথায়, ‘‘বন্ধুর সেই রিংয়ে কয়েক বছরের প্রতি মাসের দিন, তারিখ বছর ছিল। আমার মাথায় আসে সেটাই যদি আদি অনন্ত কালের জন্য করা যায়। সেই ভাবনা থেকে শুরু।’’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এরপর থেকে আত্রেয় শুরু করে গণিত নিয়ে হিসাব নিকাশ। সেখান থেকে বেরিয়ে আসে ১৪ ধরণের সন তারিখের ক্যালেন্ডার (Calendar)।
আরোও পড়ুন : কনফার্ম খবর! বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ‘এই’ জনপ্রিয় ব্যাংক! ছাড়পত্র দিল RBI, এবার কী করবেন গ্রাহকরা ?
এরমধ্যে ছিল নিয়মিত ৭টি ক্যালেন্ডার (Calendar)। বাকি ৭টি লিপ ইয়ারের। সেই ১৪ ধরণের সন তারিখের ক্যালেন্ডার পরিণত হয়েছে ‘অনন্ত ক্যালেন্ডারে’। এই ক্যালেন্ডারের হিসাব ১০, ৫০, ১০০ এমনকি দু’হাজার বছরের তারিখও মিলে যাবে বলে দাবি আত্রেয়র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আত্রেয়র এই সাফল্যকে গর্বের সাথে দেখানো হয়েছে।
তারসাথে উল্লেখ করা হয়েছে ‘ভারতীয় স্বত্ব’ বা ‘ইন্ডিয়ান পেটেন্ট অ্যাডভান্স সার্চ সিস্টেমের’ স্বীকৃতির কথাও। আত্রেয় জানান, ‘‘সারা দেশে দশ কোটি লোক যদি প্রতি বছর একটা করে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে সেটা কমপক্ষে ১০ টাকা দামের হবে। তাতেই প্রচুর টাকা খরচ হয়। কিন্তু তার তৈরি অনন্ত ক্যালেন্ডার যদি একবার কেউ ব্যবহার করে কয়েক প্রজন্ম তাকে কিনতে হবে না।’’