বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলায় জোর কদমে তদন্তে নেমে পড়েছে সিবিআই (CBI)। মামলার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে তারা। প্রতিদিনই নয়া নয়া তথ্যও জানতে পারা যাচ্ছে। তবে এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল সিবিআই।
সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেই থিয়োরি মানতে রাজি নন তাঁর পরিবার ও ভক্তরা। কিন্তু এবার একই কথা বলেছেন সিবিআই এর তদন্তকারী অফিসাররাও। তাঁরা জানিয়েছেন তদন্তে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি যাতে প্রমাণ হয় এটা আত্মহত্যা নয়, খুন।
সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ইতিমধ্যেই দু দিন ক্রাইম সিনের পুনর্নির্মাণ করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কিন্তু সেখান থেকেও খুনের প্রমাণ পাওয়া যায় এমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি। এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সিবিআই এর তদন্তকারী অফিসাররা।
তাহলে হঠাৎ আত্মহত্যা করতে গেলেন কেন সুশান্ত? তাঁকে কি কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিল? এই দিকটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তবে সুশান্ত মামলার তদন্ত এখনও বন্ধ হয়নি। AIIMS এর ফরেন্সিক দল অভিনেতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখছে।
অপরদিকে সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাও নতুন তথ্য দিয়েছেন সিবিআইকে। স্যামুয়েলের কথায়, ২০১৯ এর মে মাস থেকেই সুশান্তের বাড়িতে ঘন ঘন আসতে শুরু করেন রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর ভাই শৌভিক ও বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীও মাঝে মাঝেই আসতেন। রিয়া সুশান্তের সঙ্গে লিভ ইন করতে শুরু করেন।
স্যামুয়েল জানান, সপ্তাহে একদিন বা দুদিন বাড়িতে পার্টির আয়োজন করতেন রিয়া। কিন্তু অনেক সময়ই সেই সব পার্টিতে যোগ দিতেন না সুশান্ত। নিজের ঘরেই বেশির ভাগ সময়টা থাকতেন তিনি।
সিবিআইকে স্যামুয়েল জানান, সুশান্তের পরিচারকেরা ও রিয়া তাঁকে বলেছিলেন অভিনেতার বাড়িতে ভূতুড়ে কাণ্ডকারখানা হয়। প্রায়ই মাঝরাতে সুশান্ত নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে হনুমানজির মূর্তি নিয়ে ফের ঘরে ঢুকতেন। স্যামুয়েলের কথায়, রিয়া ও শৌভিকের সঙ্গে ইউরোপ ট্রিপ থেকে ফেরার পরেই এমন আচরন শুরু করেন সুশান্ত।
স্যামুয়েল আরও জানান, সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী ও রিয়া তাঁকে ওয়াটারস্টোন ক্লাবে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি সুশান্তের। প্রায়ই কান্নাকাটি করতেন তিনি। অভিনেতার দিদিও ওই ক্লাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বলে দাবি করেন স্যামুয়েল মিরান্ডা।