বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ঘটনার পর এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে এখনও অধরা তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। হন্যে হয়ে চলছে তার খোঁজ। এরই মধ্যে এবার শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে (Suspended TMC leader Uttam Sardar) গ্রেফতার করল পুলিশ। উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরেই তাকে সাসপেন্ড করেছিল তৃণমূল। আর সেই দিনই গ্রেফতার। সন্দেশখালি থানা এলাকা থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেবল উত্তম সর্দারই নন, সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের হাতে গেফতার হয়েছেন বিকাশ সিংহ নামের এক বিজেপি নেতা। তিনি বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
শনিবারই দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই উত্তমকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। গতকাল রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে পার্থ ভৌমিক জানান, আগামী ছ’বছরের জন্য দল থেকে উত্তমকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। আর তারপরই রাজ্য পুলিশের হাতে উত্তমের গ্রেফতার। বেশ কিছুদিন থেকে উত্তম এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছিলেন। সেই সন্দেশখালি থেকেই গ্রেফতার করা হয় উত্তমকে।
প্রসঙ্গত, গত তিন দিন ধরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। শনিবার নতুন করে ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরা আর উত্তমের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগে জ্বলে ওঠে গোটা এলাকা। বিশাল পরিমাণ পুলিশ বাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি শান্ত করা যায়নি। গতকালই সন্দেশখালিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
এই শাহজাহান, উত্তমদের গ্রেফতারির দাবি তুলে রাস্তায় নামেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। থানা ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। জবরদখল করা জমিতে বানানো একের পর এক পোলট্রি ফার্ম, বাগানবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ তাদের জমি বলপূর্বক দখল করে ওই ফার্ম তৈরি করেছিলেন উত্তমেরা। এক মাসের ব্যাবধানে সন্দেশখালির দুই ভিন্ন চেহারা দেখল গোটা বাংলা।
আরও পড়ুন: নতুন সপ্তাহেই টানা দু দিন মিলবে ছুটি! কারা পাবেন? রইল বিজ্ঞপ্তি
গ্রামবাসীর অভিযোগ ছিল, এলাকাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন উত্তম। তাও তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এর আগে গত বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা উত্তমকে ধরে ফেলেছিলেন। পুলিশ গিয়ে নেতাকে উদ্ধার করে এবং থানায় নিয়ে গেলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই উত্তমের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের লাগাতার বিক্ষোভের পর আপাতত তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।