বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কলকাতা (kolkata) থেকে গ্রেফতার করা বাংলাদেশীকে (bangladeshi) জেরা করে তাঁর থেকে একাধিক গোপন ডেরার খবর এবং অনেক কিছু উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। সেই সঙ্গে সূত্র পেয়ে ধৃত মামুনের দুই সঙ্গী নদিয়ার ইরশাদ ও শিলিগুড়ির রঞ্জিতকেও ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এসটিএফের পর আগামীকাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল এদের জেরা করবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি, কলকাতা, তালতলা, জলপাইগুড়ি, বিধাননগর-সহ সাতটি বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাতে অভিযান চালায় এসটিএফ। যার ফলে ২৩টি সিমবক্স (যার মধ্যে ২৫৬ টি সিম স্লট ক্যাপাসিটি রয়েছে), ১৭ টি রাউটার, ৪০০টি প্রি অ্যাক্টিভেটেড সিম উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার ওয়াইফাই মডেম, ল্যাপটপ, ডাটা কেবল সহ বেশকিছু বৈদ্যুতিন সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া সামগ্রী দেখে, ধৃতদের সঙ্গে জঙ্গি যোগের সন্দেহ করছে গোয়েন্দারা। আরও জানা গিয়েছে, সিম বক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কাতার, ইরাক, ইরান, পাকিস্তান থেকে ফোন আসত মামুনের কাছে। আর সেই ফোন কলগুলোকে সিমবক্সের মাধ্যমে কনভার্ট করে লোকাল কলে পরিণত করত মামুন। আর তারপর ইরশাদ এবং রঞ্জিত নিজেদের কাজ করত। এই কাজের মূল পান্ডা হলেন মামুন।
সাধারণত জঙ্গি সংগঠনরাই এই ধরনের সিম বক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ কর্তারা। সেই কারণে এই কেসের সঙ্গে কোন জঙ্গি যোগ আছে কিনা, তা ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারে ধৃত ৩ জনের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।