বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর চালু করেছে একাধিক জনমুখী প্রকল্প। সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরা কোনো না কোনোভাবে এই প্রকল্পগুলির সুবিধা উপভোগ করছেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল স্বাস্থ্য সাথী। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে প্রতিবছর পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা দেওয়া হয় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে নিলেন বড় সিদ্ধান্ত। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্মীরাও পাবেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা। পঞ্চায়েত দপ্তরে যারা কাজ করেন তারা এতদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা পেতেন না। তবে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার পঞ্চায়েত দপ্তরের সকল কর্মীদের পরিবার বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা পাবেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে।
আরোও পড়ুন : ল্যান্ড রোভার কিংবা জাগুয়ার নয়, রতন টাটা চড়েন এই গাড়িতে! জানুন তাঁর গাড়ির কালেকশন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ছয় মাস আগে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। আজ ক্যাবিনেট বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ল। এবার থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরের সকল স্তরের কর্মীরা পাবেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা। এছাড়াও কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আনে একটি বড় পরিবর্তন। সরকার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের চিকিৎসা করা যাবে না।
রাজ্য সরকারের দাবি বিগত কয়েক বছরে বেশ উন্নত হয়েছে সরকারি হাসপাতালের অর্থপেডিক ডিপার্টমেন্ট। এছাড়াও বিগত কয়েক বছরে দেখা যাচ্ছিল সরকারি হাসপাতাল থেকে হাড়ের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় সরকারি হাসপাতালে অর্থপেডিক চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো যদি একান্তই না থাকে সেক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা যাবে।