বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে মিলল কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ (Sujaykrishna Bhadra) ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা। অবশেষে কণ্ঠস্বরের নমুনা এসেছে ইডির (Enforcement Directorate) হাতে। ইতিমধ্যেই সেই নমুনা চলে গেছে আদালতে (Kolkata High Court)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তাদের সন্দেহই ঠিক। পাঁচ পাতার এই রিপোর্ট জমা পড়েছে হাইকোর্টে অমৃতা সিং-র এজলাসে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে ED। এই তদন্তের প্রয়োজনেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়েছিল। যদিও সেই কণ্ঠস্বর জোগাড় করা এতটাও সহজ হয়নি। নানা টালবাহানার পর মিলেছে নমুনা। পাঁচ পাতার একটি রিপোর্টও পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এবার খবর, সেই রিপোর্ট নিয়ে নাকি একেবারেই সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অমৃতা সিং।
এইদিন আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর ইডি জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে তাদের যে ধারণা ছিল তা একেবারেই সত্যি। তা সত্বেও রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিং। আসলে ইডি যে পাঁচ পাতার রিপোর্টটি পেশ করেছে তার তিন পাতা জুড়ে রয়েছে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের তথ্য। আর তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন অমৃতা সিংহ।
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই খেল দেখাবে আবহাওয়া, দক্ষিণবঙ্গে চলবে তান্ডব! জারি রেড অ্যালার্ট: আবহাওয়ার খবর
রিপোর্ট কেন এত সংক্ষিপ্ত তা নিয়ে সওয়ালও করেছেন এজলাসে। এইদিন বিচারপতি সিংহের প্রশ্ন, ‘২০১৪ সাল থেকে যে দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ এত কম কেন? টাকার অঙ্কই বা এত কম কেন?’ আদালত সূত্রে খবর, এই রিপোর্টের শেষ পাতায় ইডির হাতে বাজেয়াপ্ত মোট সম্পত্তির হিসেব দেওয়া রয়েছে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১৩৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন : কয়েক কোটি লোনের বোঝা চাকরিহারা শিক্ষকদের মাথায়, কীভাবে হবে শোধ? ঘুম উড়ল ব্যাঙ্কের
একই সাথে ইডি আরও জানিয়েছে, এছড়াও আরও কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত এখনও জারি রয়েছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও তদন্তকারী সংস্থার কাজে একেবারেই খুশি হতে পারেননি বিচারপতি সিনহা। উল্লেখ্য যে, বুধবার এই মামলায় ইডির পাশাপাশি সিবিআইও একটি মুখবন্ধ খাম জমা দিয়েছে। সেই সাথে সুজয়কৃষ্ণকে জেরা করারও আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।