বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দেশে (India) ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের (Indian Railways) যাত্রীসংখ্যা। এমতাবস্থায়, ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের সুবিধার্থে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে রেলের তরফে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে শুরু করা হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) মতো অত্যাধুনিক সেমি হাই-স্পিড ট্রেন। যেটি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যাত্রীদের মধ্যে। ঠিক এই আবহেই এবার বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের বিষয়ে বড় আপডেট সামনে এসেছে।
এর পাশাপাশি, দেশের প্রথম কোন রুটে বন্দে ভারত স্লিপার চলাচল শুরু করতে পারে সেই বিষয়েও তথ্য জানা গিয়েছে। ভারতীয় রেলের প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন রাজস্থান থেকে শুরু হতে পারে। মূলত, যোধপুর থেকে দিল্লি ও মুম্বাই রুটে স্লিপার বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে রেল।
দৈনিক ভাস্করের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন উপহার পেতে পারে রাজস্থান। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন যোধপুর থেকে দিল্লি এবং মুম্বাই রুটের মধ্যে চলার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রেলপথকে আরও গতিশীল করে তুলতে এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ক্রমশ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সংখ্যা বৃদ্ধির পথে হাঁটছে রেল।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে পড়লেন ধোনিও! এক ম্যাচেই এই তিন রেকর্ড ভেঙে নয়া নজির গড়লেন রিঙ্কু সিং
শুধু তাই নয়, রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরেই আরও ৬০ টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন চালু করার বিষয়টি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। পাশাপাশি, বর্তমানে চলাচল করছে মোট ৪১ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেই আবহেই বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের বিষয়ে প্রাপ্ত নয়া আপডেট উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে তিন মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে মোর্চা খুলে ফেলল ইরান! পাকিস্তানে এয়ার স্ট্রাইকের উদ্দেশ্য কী?
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারতীয় রেল আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের বিষয়ে ঘোষণা করতে পারে। এদিকে, রেলের একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ নাগাদ এই সংক্রান্ত সুসংবাদ পাওয়া যেতে পারে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটিতে যাতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ চাপতে পারেন সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই চালু করা হচ্ছে। কারণ এই ট্রেনের ভাড়া, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের তুলনায় অনেকটাই কম হবে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হবেন যাত্রীরা।