বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাঁকড়া ধরে ফিরছিলেন নৌকার দিকে। এমন সময় অতর্কিতে পেছন থেকে হামলা করে সুন্দরবনের বিশালাকার এক বাঘ (tiger)। প্রাণ ভয়ে চিৎকার শুরু করলেন মৎস্যজীবী (fisherman)। তাঁর চিৎকার শুনে বাকিরা এগিয়ে এসে লাঠিপেটা করে বাঘের মুখতে ফিরিয়ে আনলেন মৎস্যজীবীকে।
শুনলে কোন রোমহর্ষক সিনেমার গল্প মনে হলেও, বাস্তবে ঠিক এমনটাই ঘটেছে মৎস্যজীবী পঞ্চানন ভগতার সঙ্গে। শনিবার স্ত্রী সহ প্রতিবেশী ৯ সদস্যকে নিয়ে দক্ষিণ সুন্দরবনের (sundarban) জঙ্গলের দিকে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন বছর পঞ্চাশের মৎস্যজীবী পঞ্চানন ভগতা। আর সেখানে গিয়েই পড়েন বিপাকে তিনি।
সারাদিনের কাজ সেরে সন্ধ্যে নামতেই তাঁরা বাড়ির দিকে যাত্রা শুরু করে। এমন সময় যখন পঞ্চানন ভগতার সঙ্গীরা নৌকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন কাঁকড়ার ঝুড়ি নিয়ে পেছনে থাকা পঞ্চানন ভগতাকে আক্রমণ করে বিশালাকার এক বাঘ।
বাকিদের হাতে লাঠি থাকলেও, তাঁর হাতে ছিল শুধু কাঁকড়ার ঝুড়ি। বাঘের হামলা হতেই প্রাণ ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন পঞ্চানন ভগতা। তাঁর চিৎকার শুনে বাকি সঙ্গীরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যায়। লাঠি দিয়েই শুরু হয় বাঘে মানুষে লড়াই।
রীতিমত যমে মানুষে টানাটানি হওয়ার মত করেই, দীর্ঘ ১ ঘণ্টার চেষ্টায় বাঘের মুখ থেকে পঞ্চানন ভগতাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় তাঁর সঙ্গীরা। লাঠির বাড়ি খেয়ে অবশেষে হার স্বীকার করে জঙ্গলে ফিরে যায় বাঘ বাবাজিও। তবে এই যুদ্ধে কিছুটা আহত হন পঞ্চানন ভগতা। কাকদ্বীপ হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।