বাংলা হান্ট ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জেরে সম্প্রতি নাজেহাল অবস্থা হয়ে উঠেছিল দেশের মানুষের। জ্বালানি থেকে শুরু করে ভোজ্য তেলের দাম ক্রমশ বেড়ে চলায় রীতিমতো পকেটে টান পড়েছিল সকলের। এই আবহে পেট্রোল-ডিজেলের দামে বড়সড় পতন ঘটিয়েছে কেন্দ্র। তার সাথে সাথে হ্রাস পেয়েছে ভোজ্য তেলের দামও। এবার সেই রেশ বজায় রেখেই চিনির মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি, সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। কিন্তু, এবার গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পর আগামী ১ জুন থেকে চিনি রপ্তানিও নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই প্রসঙ্গে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক।
মূলত, অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির পরিমাণ বাড়ানো এবং মূল্যবৃদ্ধি রোধ করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (DGFT) একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, “চিনি (কাঁচা, পরিশোধিত এবং সাদা চিনি) রপ্তানি আগামী ১ জুন, ২০২২ থেকে সীমাবদ্ধ বিভাগে রাখা হয়েছে।”
পাশাপাশি, আরও একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ২০২১-২২ সালে চিনির মরশুমে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর মাসে) দেশে চিনির অভ্যন্তরীণ সাপ্লাই এবং দামের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আগামী ১ জুন থেকে চিনি রপ্তানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত, চিনির মরশুমে অভ্যন্তরীণ সাপ্লাই এবং দামের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য, ১০০ LMT (লক্ষ মেট্রিক টন) পর্যন্ত চিনি রপ্তানিরই অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে, জানা গিয়েছে যে, CXL এবং TRQ-এর অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা চিনির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। মূলত, CXL এবং TRQ-এর অধীনে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি রপ্তানি করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে সূর্যমুখী এবং সয়াবিন তেল আমদানিতে শুল্ক বাতিল করে সরকার। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব সরাসরি পড়বে ভোজ্যতেলের দামে।