বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee )উদ্দেশে টুইট করে বাংলার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার বিপর্যয় মোকাবিলা দল চলে আসে রাজ্যে। গত বছরই ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছিল ওড়িশা। অনেকের মতে, বাংলায় এবার আমফানের দাপট ছিল তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি। ফণী বিধ্বস্ত ওড়িশার পুনর্গঠনের কাজে অভিজ্ঞ বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীদের বাংলায় পাঠিয়েছে ওড়িশা সরকার (Government of Orissa)।
পাশে দাঁড়ানোর বার্তা শুধু টুইটারে সীমাবদ্ধ রইল না। সুপার সাইক্লোন আমফানে বিধ্বস্ত বাংলায় ৫০০ জনের উদ্ধারকারী দল পাঠালো ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক সরকার। গতকাল, রবিবার ওড়িশা থেকে এই দল এসে পৌঁছয় বাংলায়। কলকাতা-সহ আমফানে বিপর্যস্ত দুই চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজে নেমে পড়েছেন সেই দলের সদস্যরা।
এই দলে রয়েছেন ৩০০ জন দমকলকর্মী। ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, লাইট পোস্ট। সেসব সরাতেই প্রশিক্ষিত দমকলকর্মীদের ব্যবহার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়াও ১০টি বিপর্যয় মোকাবিলার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ভুবনেশ্বর থেকে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে।
নজিরবিহীন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় দুই চব্বিশ পরগনা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কোভিড সংক্রমণের মাঝে আমফানের তাণ্ডবে দিশেহারা প্রশাসনও। ১০০ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পর সোমবার সকাল পর্যন্ত খবর এখনও বিদ্যুৎবিহীন হয়ে রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলির বেশ কিছু এলাকা। শনিবার দুপুরেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছিল। তারপর সন্ধেবেলা সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ড পাঁচ কলম সেনা নামায় কলকাতা ও দুই চব্বিশ পরগনায়। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের পাশাপাশি এবার বাংলার উদ্ধার কাজে নামল ওড়িশার দলও।