সন্ত্রাসবাদীদের অর্থের জোগান বন্ধ করতে ব্যর্থ পাক সরকার, আবারও গ্রে লিস্টে ঠাই হল পাকিস্তানের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আপাতত ধূসর তালিকাতেই থাকছে পাকিস্তান (Pakistan)। তবে যদি নিজেদের বদলাতে না পারে, তাহলে কালো তালিকাতেও নামতে পারে। সন্ত্রসাবাদী কার্জকলাপ থেকে নিজেদের দূরে না রাখলে, ভবিষ্যতে ওই কালো তালিকাতেই ঠাই হবে পাকিস্তানের, তা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)। বুধাবার ৩৯ টি সদস্য দেশের সঙ্গে মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় তারা।

দেওয়া হয়েছিল শর্ত
২০১৯ সালের অক্টোবরেই পাকিস্তানকে বদলানোর একটা সুযোগ দিয়েছিল FATF। বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যে তাঁদের দেওয়া ২৭ টি শর্ত পূরণ করতে হবে পাকিস্তানকে। নচেত তাঁদের কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে। তৎক্ষণাৎ পাক সরকার জইশ প্রধান হাফিজ সইদকে গ্রেপ্তার করে FATF-এর কাছে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রকাশ ঘটেছে বলে জাহির করল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল জইশ প্রধান হাফিজ সইদের শাস্তির ব্যপারে বেশ উদাসীন পাক সরকার ইমরান খান।

584137c2c361884c098b45b2

ধূসর তালিকায় পাকিস্তান
এমনকি FATF-এর দেওয়া ২৭ টি শর্তের মধ্যে ১৩ টি শর্তই তারা মান্য করতে পারেনি। সুতরাং এবারের মতো ধূসর তালিকায় থাকছে পাকিস্তান। এবারে পরিষ্কার ভাবে পক সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছ, লস্কর-ই-তৈবা অথবা জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গী গোষ্ঠীদের সঙ্গে তিনি যদি ভবিষ্যতে আর কন রকম সম্পর্ক রাখেন, তাহলে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার থেকে পাকিস্তানকে আর কেউ রক্ষা করতে পারবে না।

যোগাযোগ রেখে চলেছে জঙ্গীর গোষ্ঠীর সঙ্গে
বহুবার বহু সুযোগ দিয়ে পাকিস্তানকে বোঝানোর চেষ্টা করেলও, পাক সরকার কিছুতেই সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে চাইছে না। পাকিস্তানের দাবী তারা বিভিন্ন জঙ্গী গোষ্ঠীদের অর্থ সরবরাহ বন্ধ করেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নম্বর ধারায় লস্কর-ই-তৈবা, জামাত-উদ-দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের মতো সংগঠন বা তাদের প্রধানের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি পাক সরকার।

কালো তালিকাভুক্ত হতে পারে পাকিস্তান
পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারতের অভিযোগ লস্কর, জইশ, হিজবুলের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সমর্থন করে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকলাপকে স্বাগত জানাচ্ছে। এমনকি লকডাউনের মধ্যেও বহুবার ভারতের সীমান্ত এলাকায় হামলাও চালিয়েছে পাকিস্তান। একে করোনা, আবার অন্যদিকে উপর মহলের চাপ, সব মিলিয়ে বেশ সংকটেই রয়েছেন পাক সরকার ইমরান খান।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর