বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ভারতে (India) শুরু হয়েছে উৎসবের মরশুমের আবহ। কিন্তু, ঠিক এই সময়েই একটি চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। মূলত, মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) কারণে উৎসবের মরশুমে চিন্তার ভাঁজ পড়তে পারে সাধারণ মানুষের কপালে। শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের দাম অনেকটাই বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে, মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে চিনির (Sugar) দামের ওপর।
জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম বেশ কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। যার প্রভাব এখন ডোমেস্টিক মার্কেটেও ভালোভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদিকে, উৎসবের মরশুমে মিষ্টি সহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চিনির বিপুল চাহিদা থাকে। যদিও, এবার চিনির দামই চিন্তায় ফেলেছে সবাইকে। এমতাবস্থায়, চলুন জেনে নিই গ্লোবাল মার্কেট থেকে শুরু করে দেশীয় বাজারে চিনির দাম কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ভারতে চিনির দাম: ইতিমধ্যেই ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, গত সেপ্টেম্বরে গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছে গিয়েছিল। এদিকে, গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ভারতেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, এল নিনোর কারণে ভারত ও থাইল্যান্ডে আখের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে চিনির দাম বেড়েছে। এর আগে ২০১০ সালে চিনির দামে এহেন বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: UPSC-তে হয়েছিলেন ৩ বার ব্যর্থ! পরিবারের সমর্থন পেয়ে চতুর্থবারে বাজিমাত করে IAS হলেন প্রিয়দর্শিনী
পাশাপাশি, কনজিউমার মন্ত্রকের আধিকারিকদের মতে, মহারাষ্ট্রের এক্স-মিলের দাম বর্তমানে বেড়ে ৩,৬৩০ থেকে ৩,৬৭০ টাকা প্রতি কুইন্টাল হয়েছে। যা গত ১ আগস্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ছিল প্রতি কুইন্টালে ৩,৫২০ থেকে ৩,৫৫০ টাকা। উত্তরপ্রদেশেও ১ মাসের ব্যবধানে প্রতি কুইন্টালে দাম ১০০ টাকা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ চিনির দাম প্রতি কেজিতে ১ টাকা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশেই রেলে চাকরির সুযোগ! জারি হল বিজ্ঞপ্তি, এভাবে করুন আবেদন
কবে মিলবে স্বস্তি: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, একটানা দ্বিতীয় মাসে F&O-র সুগার প্রাইস ইনডেক্স বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত, সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড বৃদ্ধির আগে আগস্ট মাসেও এই সূচকের বৃদ্ধি দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ হল এল নিনো। যার ফলে আখের উৎপাদন কমে গেছে। এদিকে, আখের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে চিনির উৎপাদন ও দাম সরাসরি প্রভাবিত হবে। এমতাবস্থায়, বর্তমানে চিনির দামে স্বস্তির কোনো লক্ষণ নেই। অর্থাৎ, উৎসবের মরশুমেও চিনির বর্ধিত দাম থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই সাধারণ মানুষের।