বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাজের চাপে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন বহু মানুষ। এই চাপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার (Suicide) পথ। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি মুক্তি মিলছে? নাকি পরিবারের সদস্যদের সমস্ত আশা ভেঙে দিয়ে ইহজগত থেকে বিদায় নিচ্ছেন এই মানুষগুলো। কর্পোরেট জগতের (Corporate Sector) আলোআঁধারি দিক এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন সীমা গিরি নামের এক মহিলা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন সৌমজিৎ গিরি। স্বামীকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সীমা। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে কি করবেন কোথায় যাবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। সেই ট্রমা কিছুটা কাটিয়ে উঠেই এবার কর্পোরেট সেক্টর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা চওড়া পোস্ট করলেন তিনি।
সৌমজিৎ গিরি কাজ করতে নিভিয়াতে। কাজ নিয়ে কোনদিনই ছিল না তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ। বরং তার কাজের জন্য বরাবরই প্রশংসিত হতেন তিনি। তবে চলতি বছরের ১২ ই জানুয়ারি মুম্বাইয়ের হেড অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাকে। এরপরই নাকি বিনা নোটিশে তাকে কাজ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। মুম্বাইতে থাকাকালীন স্ত্রীকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানান তিনি। বাড়ি ফিরে এসেই বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।
স্বামীকে হারিয়ে ওই কর্পোরেট সেক্টরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন সীমা। প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন এভাবে নোটিশ ছাড়াই চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হল সৌমজিৎকে? যদিও সে উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তারা নাকি মুম্বাই থেকে কলকাতা এসে জামিন নিয়ে চলে যান। এরপরেই বন্ধ হয়ে যায় সেই কেস।
সীমা গিরি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘পুস্পল রায়ের মতন কর্পোরেট সেক্টরের বেশ কয়েকটা জানোয়ার আমার স্বামীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। কর্পোরেট দুনিয়াটা কি সত্যিই এতটা হৃদয়হীন? শেষ কোথায় হবে এবং কবে হবে? কারোর কি আদৌ জানা আছে এই উত্তর। একটা বা দুটো পুস্পলকে ছাঁটাই করে কোন লাভ নেই। বয়কট করতে হবে অমানুষ তৈরীর কারখানা কোম্পানিগুলিকে ই। এতেই হয়তো বিচার পাবে সৌম্যজিতের মতো অকালে ঝরে যাওয়া অগণিত তাজা প্রাণ’।