বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে চলছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। ইতিমধ্যেই দেশের স্তব্ধ অর্থনীতি পা দিয়েছে পঞ্চম সপ্তাহে। দেশের বিরাট অংশের কর্মীর ওপর যে কোনো সময় নেমে আসতে পারে ছাঁটাইয়ের খাঁড়া। ইতিমধ্যেই কর্মহীন অনেকেই। এরই মধ্যে কর্মীদের চাকরি বাঁচাতে নিজের বেতনের সর্বস্ব ত্যাগ করছেন কয়েকজন মহানুভব সিইও। জেনে নিন কারা আছেন এই তালিকায়
পেটিএম কর্ণধার বিজয় শেখর শর্মা
পেটিএমের কর্ণধার অনেক আগেই দেশের আসন্ন অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে অবগত ছিলেন। গত মাসের শেষ দিকে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বিজয় ঘোষণা করেন যে, পরবর্তী দুই মাসের জন্য তিনি কোনও বেতন নেবেন না। তাঁর এই বেতনের অর্থ কোভিড ১৯ এর কারনে বিপর্যস্ত তাঁর কর্মীদের সহায়তায় ব্যয় হবে।
ওয়ো কর্ণধার রিতেশ আগরওয়াল
ওয়ো এর কর্ণধার রীতেশ ভারতের নবীন উদ্যোগপতিদের একজন। ইতিমধ্যেই তিনি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ২০২০ সালের অর্থবছরে তিনি একটাকাও বেতন নেবেন না। পাশাপাশি ওয়ো এর অনেক পদস্থ কর্তাও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভবেশ আগরওয়াল ওলা ক্যাবস
রীতেশ এর মতো ভবেশও একজন তরুন উদ্যোগপতি, তিনিও এই অর্থবছরে এক টাকাও বেতন নেবেন না। তার এই বেতনের পুরোটাই চলে যাবে ওলার ‘ড্রাইভ দ্য ড্রাইভার ফান্ড’-এ। এই ‘ড্রাইভ দ্য ড্রাইভার ফান্ড’ (‘Drive the Driver Fund’) আদতে ওলার সঙ্গে যুক্ত যত অটো, ক্যাব, বাইক, ট্যাক্সি ড্রাইভারদের স্বার্থে। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের আর্থিক সংকট মেটানোই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। ভবেশ এবং ওলার অন্যান্য কর্মীরাও এই ফান্ড-এ ২০ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন।
মেক মাই ট্রিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও দীপ কালরাও
দীপ কালরাও জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে এক পয়সাও বেতন না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তার বেতনের পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রাণ তহবিল তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তার সংস্থা থেকে কোনো কর্মী ছাঁটাই হবেনা তাও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বাজাজ অটো-র সিইও রাজীব বাজাজ
পুরো ১০০ শতাংশ বেতন নেবেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন রাজীব বাজাজ। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে সমাজের এবং দেশের পাশে দাঁড়াতে অন্যান্য কর্মীদেরও বেতন কমানোর আর্জি জানিয়েছেন বাজাজের কর্ণধার। তার বেশ কিছু কর্মীও বেতন নেবেন না বলে জানা গিয়েছে।
উদয় কোটাক (কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক)
উদয় কোটাক এই বছর নিজের সংস্থা থেকে মাত্র এক টাকা করে বেতন নেবেন জানিয়েছেন। তার বেতনের বাকি অর্থ যাবে কর্মীদের সহায়তায়।