বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা পরবর্তী আমলে ক্রমেই ভারতের সাথে সম্পর্ক অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জোর দিয়েছে পাকিস্তান ও চিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশের একদা শত্রু ইসলামবাদের সাথে ইউনূস সরকারের মাখোমাখো মনোভাব দৃষ্টি এড়াচ্ছে না ভারতেরও (India)।
দুটি ফলই বদলাবে বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থনীতি
তারই সাথে উত্তাল বাংলাদেশে (Bangladesh) নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া চিনও (China)। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি রোগীদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চিনা প্রশাসন। এবার পদ্মাপারের অর্থনীতি মজবুত করতে বিশেষ পদক্ষেপ জিংপিং (Xi Jinping) সরকারের। সূত্রের খবর, চিন এবার বাংলাদেশ থেকে দুটি বিশেষ ফল আমদানি করার প্রস্তাব দিয়েছে।
আরোও পড়ুন : শেষের পথে মহাকুম্ভ! ঘটবে এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা, ভারতবাসী সাক্ষী থাকবে এই অবিশ্বাস্য দৃশ্যের
শস্য শ্যামলা বাংলাদেশে আম ও কাঁঠাল অত্যন্ত পরিচিত দুটি ফল। এবার চিন বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে গরমের মরশুমে আমদানি করবে আম ও কাঁঠাল। পাশাপাশি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল সে দেশে আমদানি করতে ইচ্ছুক জিংপিং সরকার। আগামী দিনে ফুল ও ফলের হাত ধরে বাংলাদেশে যে চিনের বাণিজ্যিক লেনদেন বৃদ্ধি পেতে চলেছে তা স্পষ্ট ইতিমধ্যেই।
আরোও পড়ুন : আকাশ কালো, আজ বিকেলের পরেই আবহাওয়ায় বিরাট বদল, ১০ জেলায় কমলা সতর্কতা!
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সাথে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে চিনের। এই আবহে গত ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে একটি বৈঠক করে চিনা দল। সেই বৈঠকে পাকিস্তানে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে মেডিক্যাল সিটি তৈরির প্রস্তাব দেয় চিন। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, চিনের এই স্ট্র্যাটেজির পিছনে রয়েছে বাংলাদেশ ‘ফ্যাক্টর।’ পাকিস্তানে মেডিক্যাল সিটি তৈরি হলে একদিকে যেমন সে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে, তেমনই সুসম্পর্ক গড়ে তোলা যাবে দুই দেশের সাথে।
ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকের পর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, ‘সরকার পাকিস্তানে চিনা বিনিয়োগের সুবিধার্থে সবরকমের সহযোগিতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চিনা বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাই এবং তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ এমনকি ভাষাগত সমস্যা দূরীকরণে পাকিস্তান চিনা কোর্সও ইতিমধ্যে শুরু করেছে বলে জানিয়েছিলেন সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী।