প্রাণী হত্যা না করেই মাংস উৎপাদন করে সফলতার শিখরে এই বাংলার সন্তান

বাংলা হান্ট ডেস্ক :সারা বিজ্ঞানীমহলে হইচই ফেলে দিয়েছেন এক বাংলার (West bengal) সন্তান। গুয়াহাটি আই আই টির বায়োসায়েন্সেস অ্যান্ড বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক বিমান মণ্ডল আবিষ্কার করে ফেলেছেন প্রাণীহত্যা ছাড়াই মাংস উৎপাদনের পন্থা।

কীভাবে সম্ভব হবে এমন সম্ভব ঘটনা? এর নেপথ্যে রয়েছে টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং। এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে গবেষণাগারে মানবদেহের হাড়, ত্বক, কর্নিয়া তৈরি করে গ্রহীতার দেহে প্রতিস্থাপন করা হয় বেশ কিছুদিন ধরেই।

এবারে এই টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাহায্যেই গবেষণাগারে তৈরি হবে মাংস। এতে বিশ্বব্যাপী মাংসের চাহিদার যোগান দিতে অসংখ্য প্রাণীকে আর হত্যা করতে হবে না।

IMG 20200223 WA0006

উপকারিতা-
১-মাংস উৎপাদনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা জলের ব্যবহারকমবে
২- খাদ্যশস্যের ব্যবহারও কমবে।
৩- কমবে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণও।

কিভাবে তৈরি হবে?

যে প্রাণীর মাংস উৎপাদন করা হবে,
১– তার শরীর থেকে তুলে আনা হবে মাসল প্রোজেনিটর সেল।
২–তারপর ক্রমে তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে ফ্যাট, কার্টিলেজ কোষ।
৩–বায়োরিয়াক্টরের সাহায্যে একটি প্রাণীর থেকেই তৈরি হবে একশোটি প্রাণীর সমান মাংস।

অতিরিক্ত কি করা যেতে পারে-?-
১–চাইলে সেই মাংসে পুষ্টিগুণও বাড়ানো যাবে।
২–ইচ্ছেমতো ফ্যাটও বাড়ানো-কমানো সম্ভব।
৩–পরীক্ষা চালানো যাবে মাংসের স্বাদ নিয়েও।

সতর্কতা —

ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম মেনেই উৎপাদিত হবে এই মাংস। মাংসের ভিতরে রাসায়নিক বা ওষুধের প্রাদুর্ভাবও থাকবে না। সমস্যা বলতে একটাই, গবেষণাগারে উৎপাদিত এই মাংসে হাড় জুড়ে দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না।

ইতিমধ্যেই গবেষণায় সাফল্য মিলেছে। পেটেন্টের আবেদনও জানিয়েছেন লেকটাউন শ্রীভূমি-নিবাসী বিমান মণ্ডল। সেই আবেদনপত্র গৃহীতও হয়েছে। বিজ্ঞানীর দাবি, সব ঠিকঠাক এগোলে দ্রুতই বাজারে আসবে গবেষণাগারে তৈরি ‘আসল’ মাংস।


Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর