বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় গম “নষ্ট” তথা পচে গিয়েছে বলে ফেরত দিয়েছিল তুরস্ক। এদিকে, গমের চালান ফেরত আসার খবরে বিশ্ববাজারে বেশ হইচই পড়ে যায়। এমতাবস্থায়, ভারতীয় গমের গুণমান নিয়ে তুরস্ক যে প্রশ্ন তুলেছে, তার উত্তর এখন ভারত থেকে গম কিনে বিদেশিরা দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই আফ্রিকার দেশ মিশর ভারত থেকে ১,৮০,০০০ টন গম কেনার জন্য একটি চুক্তি করেছে। উল্লেখ্য যে, মিশর হল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গম আমদানিকারক দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই দেশ বেশিরভাগ শস্য কৃষ্ণ সাগরের জলপথের মাধ্যমে কেনাকাটা করত। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে মিশর এখন অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে।
বেড়েছে গম আমদানির ব্যয়:
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানির খরচ লাফিয়ে বেড়েছে। জানা গিয়েছে, মিশর সেদেশের ১০৩ মিলিয়ন (১৩ কোটি) জনসংখ্যার ৭০ মিলিয়নেরও (৭ কোটি) বেশি বাসিন্দাকে ভারী ভর্তুকিযুক্ত রুটি সরবরাহ করে। আর এই কারণেই মিশর গম আমদানির ওপর নির্ভরশীল। এই প্রসঙ্গে মিশরের সরবরাহ মন্ত্রী এলি মোসেলহি গত মে মাসে জানিয়েছিলেন যে, তিনি ভারত থেকে ৫ লক্ষ টন গম কিনতে রাজি হয়েছেন। পাশাপাশি, ভারতও চলতি বছর মিশরে ৫ লক্ষ টন গম রপ্তানি করতে সহমত পোষণ করেছে।
রাশিয়া থেকেও কেনার চেষ্টা:
পাশাপাশি, তিনি বলেন যে, “আমরা ৫ লক্ষ টন গম আমদানিতে রাজি হয়েছিলাম, কিন্তু সরবরাহকারীর কাছে বন্দরে মাত্র ১ লক্ষ ৮০ হাজার টন গম রয়েছে। মিশর গম কেনার জন্য রাশিয়ান সরবরাহকারীর সঙ্গেও আলোচনা করছে।” এছাড়াও, তিনি জানান, মিশর গমের চেয়ে বেশি আটা আমদানির উপায় খুঁজছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব:
জানা গিয়েছে, ভারত সরকার শীঘ্রই আরও গমের রপ্তানির ক্ষেত্রে অনুমোদন দিতে পারে, কারণ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর দেশের বন্দরে আটকে রয়েছে বিপুল পরিমাণ গমের চালান। আর তা খালি করতেই সরকার শীঘ্রই গম রপ্তানির অনুমোদন দিতে পারে। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী গমের চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে।