বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (corona virus), গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চীনের এই ভাইরাস অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের জড়িয়ে নিয়েছিল সমগ্র বিশ্বকে। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল বিশ্বের তাবড় তাবড় সব দেশ। একদিকে যেমন এই করোনা ভাইরাস মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, অন্যদিকে মৃত্যু পথযাত্রী মানুষের কাছে হয়েছিল আশির্বাদ স্বরূপ।
শুনতে অবাক লাগলেও, ইংল্যান্ডের মাত্র ২১ বছর বয়সী অলিভিয়া এবিটসনের জীবনে এই মহামারি করোনা ভাইরাস ভগবানের আশির্বাদ স্বরূপ। অলিভিয়া নিজের পরিচিতদের মধ্যে পার্টি গার্ল নামে পরিচিত ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই মদের নেশায় চূড় হয়ে থাকতে অলিভিয়া। ধীরে ধীরে বয়স বাড়তে বাড়তে ১৮-১৯ বছর বয়সে প্রতিদিনই মদ্যপান তাঁর বাঁধা ধরা ছিল। পার্টিতে যাওয়ার আগে এবং পরে, এমনকি পার্টি মধ্যেও গলা অবধি মদ্যপান করতেন। সঙ্গে অতিরিক্ত মাত্রায় খেতেন ফাস্ট ফুডও। এভাবে চলতে চলতে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল অলিভিয়া।
কোন বন্ধু বান্ধব ছিল না তাঁর। এমনকি বিভিন্ন রোগেও আক্রান্ত হয়ে পড়েন অলিভিয়া। ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২ দিনের জন্য কোমায়ও চলে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২০ সালের মার্চ থেকে গোটা ইংল্যান্ডে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
অলিভিয়া জানান, লকডাউনের সময় কোন মদের দোকনা খোলা ছিল না। আমি অনুভব করি অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে আমার শারীরিক ওজন অনেক বেড়ে গিয়েছিল। লকডাউনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমি মদ্যপান ছেড়ে দিয়ে শুধু জল এবং গ্রিন টি পান করা শুরু করি। সঙ্গে ব্যায়াম কতেও শুরু করি’।
বিগত ১০ মাস ধরে মদ্যপান ছেড়ে দিয়ে আবারও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছে অলিভিয়া। তাঁর ওজনও অনেক কমে গিয়েছে। পাশাপাশি অলিভিয়া জানিয়েছেন, ভেঙ্গে না পড়ে, নিজেকে বদলে ফেলার এটাই উপযুক্ত সময়। সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগে তাঁর খারাপ অভ্যাসের জন্য কোন সঙ্গী না থাকলেও, বর্তমানে একজনের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। তারা একসঙ্গে দেখাও করেছেন। লকডাউন যেন এক নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে অলিভিয়াকে।