বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ টালবাহানার পর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে শুরু হয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ অনুদান পাঠাচ্ছেন। রাম মন্দিরের দপ্তরে চেকের মাধ্যমে অথবা অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে সারা পৃথিবী থেকে অর্থ প্রদান করা যায়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের একটি ঘোষণা থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ইতিমধ্যেই রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে, প্রায় ১৫ হাজার চেক বাউন্স করেছে। সেই চেক গুলির অর্থমূল্য প্রায় ২২ কোটি টাকারও বেশি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার অনুদান পেয়েছে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। এমনকি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে প্রকাশ করা রিপোর্টে সেই চেকগুলির বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ট্রাস্টের অফিস ম্যানেজার প্রকাশ গুপ্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “বাউন্স হয়ে যাওয়া চেক বিষয়ক দ্বিতীয় একটি রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। এই রিপোর্টে আমরা এই চেক গুলি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাব। চেকগুলি বাউন্স হওয়ার ভিন্ন ভিন্ন কারণ আছে।”
রাম মন্দির ট্রাস্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোনও কোনও চেকে বানান ঠিক নেই, কোথাও আবার অনুদানকারীর স্বাক্ষর মেলেনি। এছাড়াও বেশ কিছু চেকে প্রযুক্তিগত ত্রুটি আছে। তবে অল্প প্রযুক্তিগত ত্রুটি যুক্ত চেকগুলিকে ফের ব্যাংকে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পেশ করা রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র অযোধ্যা থেকে পাঠানো বাউন্স করা চেকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। শুধু অযোধ্যা থেকেই প্রায় ২০০০ চেক বাউন্স করেছে। প্রদানকারীর ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকাটাও চেক বাউন্স হবার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।