হোগলা বনে আগুন লাগিয়ে রাতারাতি গ্রেপ্তার কাউন্সিলরের খুনি, জেরায় প্রকাশ চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রবিবার প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। রাত পোহানোর আগেই গ্রেপ্তার করা হল খুনিকে। রাতভর তাকে জেরায় পুলিশের হাতে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে অভিযুক্ত একজন সুপারি কিলার। ধৃতকে জেরা করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও একজনকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সুপারি কিলারের নাম শম্ভুনাথ পন্ডিত। খুনের পর মৃত কাউন্সিলরেরই বাড়ির পিছনের একটি বস্তিতেই লুকিয়ে ছিল সে। পরে সেই বস্তির পিছন দিকের হোগলা বনে গা ঢাকা দেয় শম্ভুনাথ। পুলিশের দাবি, ওখানে লুকিয়ে থেকে পরে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল খুনি। কিন্তু পুলিশি অভিযানে জল পড়ল সেই পরিকল্পনায়।

রবিবার পানিহাটির কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুন হওয়ার পরই এলাকায় যায় বিরাট পুলিশবাহিনী। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সবকটি সিসিটিভি ফুটেজ। আর সেখান থেকেই সামনে আসে খুনের মুহুর্তের ভিডিও ফুটেজও। রাতেই এলাকায় চলে চিরুনী তল্লাশি। সিসিটিভি ফুটেজে খুনিকে যে পোষাকে দেখা গিয়েছিল তা বদলে ফেললেও তাকে পাকড়াও করে পুলিশ।

পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে হোগলা বনে ঢোকে শম্ভুনাথ। তারপর পুলিশ সেখানে পৌঁছে আগুন লাগিয়ে দেয় হোগলা বনে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে সেইখান থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় অভিযুক্ত। সেখানে তাকে হাতেনাতে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাকে গ্রেপ্তার করে রাতভর চলে জেরা। আর তাতেই উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তদন্তে জানা যাচ্ছে, ধৃত শম্ভুনাথ পন্ডিত নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা। ওই কাউন্সিলরকে খুন করার জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল তাকে। অবশেষে খুনের দিন রাতের গ্রেপ্তার হয় সে। ঘটনার তদন্ত করছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। কে সুপারি দিল তাকে? ঘটনার পিছনে কি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক যোগ নাকি পুরোটাই ব্যক্তিগত আক্রোশের ফল খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই দিকগুলিই।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর