বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উৎসবের মাঝেই জোড়া খুনের সাক্ষী থাকল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তকে গণপিটুনি। শেষমেষ মৃত্যু অভিযুক্তের। প্রসঙ্গত সোমবার সকালে শুট আউটে (Shootout) প্রাণ হারিয়েছেন জয়নগর (Joynagar) থানার অন্তর্গত বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাইফুদ্দিন লস্কর (৪৩)।
সোমবার ভোরবেলা মসজিদে যাচ্ছিলেন সাইফুদ্দিন। সেই সময় তার উপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এক রাউন্ড গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওদিকে দুষ্কৃতীর দল পালাতে গেলে তাদের মধ্যে এক দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই তার উপর চড়াও হয় উত্তপ্ত জনতা। চলে বেধড়ক মারধর। এলাকাবাসীর মারের চোটেই মৃত্যু হয় তার। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর নাম, পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর পরিচয় জানার জন্য খোঁজ চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আর নয় একা! তৃণমূলের বালু এখন পার্থের পড়শী, প্রেসিডেন্সি জেলে কাছাকাছি দুই হেভিওয়েট
ওদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মৃত ওই তৃণমূল নেতা ও দুষ্কৃতীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মৃত সাইফুদ্দিন লস্কর বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী সেরিফা বিবি লস্কর বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রধান।
মৃতের বাবার অভিযোগ সিপিএম-এর আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতা খুনের পরই গ্রাম ঘিরে চলে হামলা। একের পর এক সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর, করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণ ভয়ে ঘর ছাড়া বহু মানুষ। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে গ্রামে তাণ্ডব চলে বলে দাবি গ্রামবাসীর।
‘পান্ডিত্য করলেই রাজনৈতিকভাবে…’ সোহমের মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে বিরাট হইচই