বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক তৃণমূল নেতার স্ত্রীকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে নগ্ন ছবি পাঠানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে। পুলিশ সুত্রে জানা যাচ্ছে, কালিয়াগঞ্জের শিমুলতলার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের এক মহিলা অভিযোগ করেন, আইএনটিটিইউসির বর্তমান জেলা সভাপতি রায়গঞ্জের বাসিন্দা শেখর দাস তাঁকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে লাগাতার অশ্লীল বার্তা পাঠিয়েছেন।
ওই মহিলার অভিযোগ, ‘আমার স্বামী এক সময় আইএনটিটিইউসির কালিয়াগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি ছিলেন। সেই সূত্রেই শেখর দাসের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। আমার নামে ফেসবুকে যে প্রোফাইল রয়েছে, তা আমার মেয়ে দেখভাল করে। শেখরবাবু ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন দেখে আমার মেয়ে তা অ্যাকসেপ্ট করে। এর পর উনি ফেসবুকে লাগাতার অশ্লীল বার্তা পাঠাতে থাকেন। খুব নোংরা সব ছবি পাঠাতেন তিনি। আমার সঙ্গে এ সব করা কি ঠিক হল? ওই ছবি দেখলে নিজেরই লজ্জা করছে।’
ওই মহিলার ছেলে আবার অভিযোগ করেন, ‘শেখর দাস আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি। উনি দলীয় পদ দেবেন বলে আমার কাছে ১৫-১৬ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। আমি ১৫ লক্ষ টাকাও দিয়েছি। টাকা দেওয়ার ভিডিও সহ প্রমাণও আছে। আর সেটা বুঝতে পেরে উনি আমাকে নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকেন। এর পর ফোনে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন উনি। মায়ের নামে ফেসবুক প্রোফাইলটি আমার বোনই ব্যবহার করত। ওঁর মেসেজগুলি আসার পর থেকে আমিই ফোনটা ব্যবহার করছিলাম। ওঁর সঙ্গে চ্যাটও করেছি। তাতে ওঁর চরিত্রের নোংরা দিকটা আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে।’
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই শেখর দাস অবশ্য বলেন, ‘যা বলার দলের জেলা সভাপতি বলবেন। উনিই এখানে দলের সর্বেসর্বা।’ এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি কানাইলাল অগ্রবালের বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছি। তিন জনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তার রিপোর্ট পেলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’ জেলার বিরোধীদলের নেতাদের অভিযোগ তৃণমূল দলের নেতারাই এই ধরনের আচরণ করে থাকে। যেখানে দলের নেতাদের স্ত্রীরাও সুরক্ষিত নন সেখানে রাজ্যের বাকি মহিলা অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। সকলেই এই সমস্ত নেতাদের খারাপ আচরণের শিকার বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী শিবির।