‘গরুপাচারের টাকা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে, বিনা কারণে কেষ্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে’, বুক ফুলিয়ে দাবি ফিরহাদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর থেকে গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বেশ কয়েক মাস আসানসোল জেলে কাটালেও বর্তমানে তার ঠিকানা দিল্লির তিহাড়। এই নিয়েই দুদিন আগে বীরভূমে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Sha)। শাহ বলেছিলেন, এখানের তৃণমূলের এক নেতা গরুপাচারের জন্যই আজ তিহাড় জেলে বন্দি। এবার সেই অনুব্রত গড়ে দাঁড়িয়ে গরুপাচারের জন্য পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটকে পাখির চোখ করে জেলায় জেলায় সভায় মেতে উঠেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। এই আবহেই আজ, রবিবার বীরভূমের সভা করতে গিয়েছিলেন কলকাতাড় মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর সেই সভাতে দাঁড়িয়েই মন্ত্রীর মুখে উঠে এল কেষ্ট প্রসঙ্গ। শুধুই তাই নয়, প্রকাশ্য সভা থেকেই কেষ্ট মণ্ডলকে নির্দোষ ঘোষণা করেন ফিরহাদ। বললেন, ‘‌আমাদের নেতাকে বিনা কারণে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।’‌

এদিন মন্ত্রী ফিরহাদের নিশানায় ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, ‘‌উত্তরপ্রদেশ থেকে গরু আসে। চলে যায় বাংলাদেশে। সীমান্তে পাহাড়ায় থাকে কেন্দ্রের বিএসএফ। এখানে মাঝখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে জুড়লে কী করে হবে? গরুপাচারের টাকা যায় উত্তরপ্রদেশ আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। আমাদের নেতাকে বিনা কারণে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।’‌

firhad hakim

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাংলায় পা রেখেই বীরভূমের সিউড়িতে সভা করে করেন অমিত শাহ। সেখান থেকেই দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কাঠগড়ায় তোলেন। দুর্নীতির তদন্ত চলবে বলে হুঙ্কার দেন শাহ। দুদিন বাদে রবিবার সেই সিউড়িতে পালটা সভা করল শাসকদলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়েই অনুব্রত মণ্ডলকে নির্দোষ বলে মন্তব্য করলেন ফিরহাদ।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মেয়র। পূর্বে অনুব্রতর হয়ে সওয়াল করে ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘‌অনুব্রত মণ্ডল বাঘ। ওকে চিরকাল খাঁচায় আটকে রাখা যাবে না।’‌ বাংলার ‘বীরের’ তকমাও দেওয়া হয়েছিল জেলবন্দি অনুব্রতকে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর