রাজ্যপালকে সরাতে হবে! রামপুরহাট হিংসা নিয়ে অমিত শাহের দরবারে দাবি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার দিল্লির সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের বিশেষ প্রতিনিধি দল। আর তাতেই সবরকম ভাবে রাজ্যের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, এমনটাই দাবি তৃণমূল শিবিরের। একই সঙ্গে প্রতিনিধি দলের অন্যদম সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই, এমনই বিশ্বাস অমিত শাহের। এদিন রাজ্যপালের অপসারণের দাবিও তাঁরা রাখেন অমিত শাহের কাছে। তৃণমূলের বক্তব্য, রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করছেন রাজ্যপাল। তাই অবিলম্বে তাঁকে সরানো উচিত।

সোমবার রাতে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র রামপুরহাট। সেই রাতেই আগুন লাগানো হয় বগটুই গ্রামের ১০ টি বাড়িতে। কুপিয়ে খুন করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক দেহ। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এই ঘটনায় অতি দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহন করেছে রাজ্য সরকার। পুলিশের উপর গাফিলতির অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৩ জনকে। সাসপেন্ড এবং ক্লোস হয়েছেন বহু উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তাও। এদিন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও যান রামপুরহাটে। সেখানে গিয়ে নিহতদের এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেন তিনি।

অন্যদিকে সংসদ চলাকালীনই বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের ১৩ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। এছাড়াও ছিলেন শতাব্দী রায়, মহুয়া মৈত্র, মৌসম বেনজির নূর।

TMC delegation Amit Shah

এদিন সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, এমনটাই বলতে শোনা যায় তৃণমুলের প্রতিনিধিদের। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিস্তারিত জানিয়েছি যে প্রশাসন এই ঘটনায় অত্যন্ত দ্রুত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে। জানিয়েছি, ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সিট তৈরি হয়েছে। আমরা বলেছি, এটা ওখানকার পারিবারিক, গ্রাম্য বিবাদ। রাজনীতি নেই। তিনি সবরকমভাবে সাহায্য়ের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনিও বিশ্বাস করেন যে এর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই। তবে ঘটনা অত্যন্ত নৃশংস।’ উল্লেখ্য, বুধবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেও তিনি রাজ্যের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর একই জিনিস ট্যুইট করেও ঘোষণা করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এভাবে যে রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র, এমনটাই অবশ্য মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর