বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ মহা পঞ্চমী (Maha Panchami), বাঙালীর প্রাণের উৎসব দূর্গা পুজোর (Durga puja) ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। চারিদিকে কাশফুল আর শিউলির গন্ধে ম ম করছে আকাশ বাতাস। পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা বঙ্গবাসী। আলোর সাজে সেজে উঠেছে শহর তিলোত্তমা। মা এসে গেছেন।
২০১৯ সালের মায়ের নিরঞ্জনের পরই জানা গিয়েছিল ২০২০ সালে মহালয়ার প্রায় ১ মাস পর মা আসবেন তাঁর বাপের বাড়িতে। কিছু নাকি নিয়মের গণ্ডি রয়েছে। তাই মায়ের আসতে একটু দেরী হবে। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল মায়ের জন্য অপেক্ষা শুরু। একেই গোটা এক বছর মায়ের আগমনের জন্য চাতক পাখির মত চেয়ে থাকে বাংলার মানুষ, তারউপর অতিরিক্ত আরও ১ মাস। যেন সময় আর কাটছিলই না।
২০২০ সাল পড়ল। কিন্তু মায়ের আগমনের আনন্দ কিছুটা ফিকে হয়ে গেল। চারিদিকে কান্নার রোল পড়ে গেল। চীনের ভয়ঙ্কর মহামারি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল গোটা বিশ্বে। কয়েক মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে গেল গোটা বিশ্ব। এই প্রথমবার লকডাউন শব্দের সঙ্গে পরিচয় হল গোটা বিশ্ববাসীর। সেই সঙ্গে সঙ্গী হল মাস্ক এবং মৃত্যু ভয়।
বর্তমান সময়ে দীর্ঘ লকডাউন পেরিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ মত নানান নিয়ম মেনে কিছুটা হলেও পুরনো ছন্দে ফেরার চেষ্টা করে চলেছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এই সংকটের আতঙ্কে মায়ের আগমন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল বাঙালীর মনে। তবে কি এবার করোনা কেড়ে নিল পুজোর আনন্দ!
না, বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সম্মতি দিলেন মায়ের আগমনের প্রস্তুতিতে। এই কথা শুনে মৃত্যুর আতঙ্কের মধ্যেও যেন প্রাণ ফিরে পেল বাঙালী। ধীরে ধীরে সেজে উঠছে কলকাতার রাস্তা ঘাট, সেজে উঠছে মানুষজনের বিধ্বস্ত মন। তবে অন্যান্যবারের থেকে এবারের পুজোর আনন্দে কিছুটা ভাটার টান থাকলেও, করোনা সতর্কীকরন মেনেই প্যান্ডেলে প্রবেশ নিষেধ মান্য করেই উৎসবে মাতোয়ারা বাংলার মানুষ।