বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শক্তিশালী রূপ ধারণ করছে ঘূর্ণিঝড় গতি। আবহাওয়ার (Weather) পরিবর্তন ঘটাতে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আছড়ে পড়তে চলেছে স্থলভাগে। বাংলার মানুষ এখনও আমফানের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তবে এবার আমফান বিধ্বস্ত বাংলার মানুষের কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্ষা বিদায় নেওয়ার পূর্বে জোর ঝটকা দিতে চলেছে প্রকৃতি। উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অঞ্চলের সংগঠিত নিম্নচাপ ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। শক্তি বৃদ্ধি করে এগিয়ে আসছে ওড়িশা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। ওড়িশা, মারাঠওয়াড়া, তেলাঙ্গনা, উপকূলবর্তী অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি রয়েছে।
আজকের আবহাওয়া
সকাল থেকে শহরের আকাশে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাপমাত্রার পারদ সামান্য বেড়েছে, তা ভালোই টের পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও, আসন্ন নিম্নচাপের প্রভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির আশঙ্কায় আবহাওয়াবিদরা।
আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি রাতে মূলত আবছা আকাশ থাকবে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গতি
এবারের মত রেহাই পাচ্ছে বাংলা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতির আঁচ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। জোড়া নিম্নচাপ অক্ষের জেরে গতি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে। পাশাপাশি তামিলনাডু, পুদুচেরি, মান্নার প্রণালিতেও জারি হয়েছে সতর্কতা। প্রায় ৬৫ কিমি বেগে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূল বরাবর আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় গতি।
মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা জারি
সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষজনকে সতর্ক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাত্রা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। আগামী ১৪ ই অক্টোবর অবধি মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।