তৃণমূলের ‘কীর্তি’ ফাঁস করল তৃণমূল! জেল খাটা বাংলাদেশিকে ছাড়াতে যান শাসকদলের নেতা? ভাইরাল ছবি

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২১ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন নিউটন দাস নামের এক বাংলাদেশি (Bangladeshi)। বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ওপারে যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় মাস তিনেক জেল খাটার পর ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ‘যোগ’ আরও স্পষ্ট হল! সম্প্রতি কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য বিপ্লব দাস বলেন, এই নিউটনকে জামিন করাতে তৃণমূলেরই নেতা দেবাশিস দাস একাধিকবার বনগাঁ গিয়েছিলেন।

তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার সঙ্গে জেল খাটা বাংলাদেশির ‘ঘনিষ্ঠতা’ ফাঁস করল তৃণমূলই!

জানা যাচ্ছে, বছর চারেক আগে নিউটন যখন গ্রেফতার হন, সেই সময় তাঁর কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছিল। সেই সঙ্গেই ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও প্যান কার্ডও পাওয়া যায়। ওপার বাংলার এক নাগরিকের কাছে এসব কীভাবে এল? এই নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় নিউটনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় মাস তিনেক জেলবন্দি ছিলেন তিনি।

বিপ্লবের অভিযোগ, এই সময় নিউটনকে জামিন করাতে বেশ কয়েকবার বনগাঁ গিয়েছিলেন সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস দাস। শুধু তাই নয়! জামিন পাওয়ার পর ফের কাকদ্বীপ চলে আসেন নিউটন। দেবাশিস ও আরেকজনের সঙ্গে রেস্তোরাঁর ব্যবসাও খুলে বসেন। অভিযোগ, পরবর্তীতে ব্যবসা বন্ধের সময় হরিপদ দাস নামের এক অংশীদারের থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা নিয়ে পালায় নিউটন।

আরও পড়ুনঃ ২৭ জুনের মধ্যে DA না দিলে…! ঠিক কী করতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা? স্পষ্ট জানালেন

বিপ্লব এই বিষয়ে বলেন, ‘দেবাশিস দাস একসময় মিটিংতে ডাকলে আমরা যেতাম। তখনই দেখেছি ওর সঙ্গে নিউটন দাস থাকতেন। ওর সঙ্গে আসতেন, মিটিং-মিছিল করতেন। দেবাশিসের সঙ্গে ওর ভালো সম্পর্ক ছিল বলেই মনে হচ্ছে। ২০২১ সালে নিউটনের সঙ্গে আমার পরিচয়। এরপর ২০২২ সালে গ্রেফতার হয়। ৯০ দিন জেল খাটে। তখন দেবাশিস ওকে ছাড়াতে গিয়েছিল’।

trinamool congress tmc flags

এই বিষয়ে দেবাশিস আবার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করি না। আর কাকদ্বীপ বিধানসভায় ২০০-৩০০ জন সদস্য আছেন। কোথাকার কোন সদস্য আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলল সেটা নিয়ে কিছু বলার থাকে না। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও প্রমাণ থাকে তাহলে থানায় কেস করুক। আর যদি ছবি থাকে, অনেকে এগুলো নিয়ে অনেক কিছু বলবে আমি গায়ে মাখি না’।

উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও নিউটনের সঙ্গে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ‘যোগ’ সামনে এসেছিল। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘তৃণমূলকে ভোট দিয়েছি’। এবার শাসকদলের এক নেতার সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’র কথা সামনে এল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেকথা সামনে আনলেন তৃণমূলেরই এক নেতা।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।