বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (China) এই করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে এখন সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশকে ছাড়িয়ে গেছে আমেরিকা। এখনও অবধি আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার। আমেরিকার এই ক্ষতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময় চীনকে দোষারোপ করে এসেছে। প্রথমদিকে তিনি এই ভাইরাসকে চিনি ভাইরাস বলেও অভিহিত করেছিলেন।
প্রথমিকভাবে এই ভাইরাসকে গুরুত্ব না দিয়ে আজ আমেরিকার এই ভোগান্তি। শ্মশানপুরীতে পরিণত হয়েছে আমেরিকা। প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে আমেরিকায় এই রোগের কবলে পড়ে। তাই বিভিন্ন সময়ে এই ভাইরাসের জন্য চীন প্রধান জিনপিংকে আক্রমণ করেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি UNSC-এর বৈঠকেও তিনি চীনের উপর তার সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দেন।
চীনকে সাহায্য করার জন্য WHO- কে আর্থিক অনুদান দেওয়াও বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। করোনা ভাইরাসের সত্যতার বিষয়ে গোপন রেখে চীনের সহায়তা করার জন্য WHO -এর প্রধানেরও পদত্যাগের দাবী জানায় মার্কিনরা। এই সংকটের পরিস্থিতিতে WHO -এর অর্থ অনুদান বন্ধ করে দেওয়ায় রাষ্ট্র সংঘের পক্ষ থেকে নিন্দা করা হয় আমেরিকার।
সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছিল মার্কিন সরকার। সেখানে এক সাংবাদিক আমেরিকায় বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের কারণে চীনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিতে চলেছে ট্রাম্প সরকার, এই প্রশ্ন করেন। কিন্তু তার এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি। বারবার তাঁকে একই প্রশ্ন করায় ট্রাম্প ক্ষিপ্ত হয়ে জানান, ”চীনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেব সেটা আমি এখন আপনাদের বলতে রাজি নই। আপনাদের বললে সেটা চীন জানতে পেরে যাবে। তাই আমি এখন এই বিষয়ে কিছুই বলব না”।