বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোটবেলায় হারিয়েছেন বাবাকে। মা বিড়ি বাঁধাইয়ের কাজ করে কোনও রকমের সংসার চালান। প্রতিকূল অবস্থা জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে। নিত্য সঙ্গী দারিদ্রতা। নন্দলা সৈকিরন সেই অবস্থাতেও চালিয়ে গেছেন লড়াই। যেখানে দুবেলা ভাত জোগাড় করা বিলাসিতার মতো, সেখানে নিজের পরিশ্রম ও অধ্যাবস্যার জোরে স্বপ্ন পূরণ করেছেন নন্দলা।
ইউপিএসসিতে সর্বভারতীয় স্তরে ২৭ তম র্যাংক করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। পেশায় হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার নন্দলা। প্রয়াত বাবা তাঁতী ছিলেন। নন্দলার অনেক ছোট বয়সেই প্রয়াত হয়েছেন তার বাবা। সংসারের হাল ধরতে মা বিড়ি বাঁধতেন। ২৭ বছরের সেই নন্দলা আজ নতুন মাইলফলক তৈরি করলেন।
আরোও পড়ুন : এবার তিন হাজার টাকা করে মিলবে লক্ষীর ভান্ডারে! ভোটের আগেই হয়ে গেল বড়সড় ঘোষণা
একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতেন নন্দলা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। কাজের ফাঁকেই চালিয়ে যেতেন পড়াশোনা। মাত্র ১৯ নম্বরের জন্য প্রথমবার তার সুযোগ হাতছাড়া হয়। তারপর নিজে বার করতে চেষ্টা করেন কোথায় ফাঁকি রয়ে গেছে। নাড়াচাড়া শুরু করে প্রশ্নপত্র।
আরোও পড়ুন : হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে অপরিশোধিত তেলের দাম! আজ কলকাতায় কত’তে বিকোচ্ছে পেট্রোল-ডিজেল?
পড়তে শুরু করেন ব্লগ। গত ইউপিএসসি পরীক্ষায় শীর্ষস্থানীয়দের ফলো করতে শুরু করেন নন্দলা।এরপর নিজের মতো করে শুরু করেন পড়াশোনা। শুরু হয় পরিশ্রম। সেই পরিশ্রমের উপর ভর করেই আজ সাফল্যের চূড়ায় তিনি। প্রস্তুতির জন্য কোনও কোচিং সেন্টারে ভর্তি হননি নন্দলা। অনলাইন কোচিংয়ের উপর ভরসা ছিল তার।
কাজ করার ফাঁকে তিনি পড়াশোনা করতেন। সংসারের অবস্থা খারাপ হওয়ায় চাকরি ছাড়তে পারেননি। টিফিন টাইমে চোখ বুলাতেন পেপারে। এভাবেই তিনি ধীরে ধীরে প্রস্তুত করেছেন নিজেকে। ২৭ বছরের এই যুবক আজ অনেকের কাছেই উদাহরণ। নন্দলার এই সাফল্যে আজ গর্বিত তার মা।