বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঝাঁটা (Broom), প্রত্যেক বাড়িতেই নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে ঝাঁটা একটি অপরিহার্য বস্তু। ঝাঁটা দিয়েও ঘরের যাবতীয় নোংরা সকলে ঝাঁট দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। বাইরের রাস্তা ঘাট ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার রাখতেও আবার ঝাঁটা ব্যবহার করা হয়। তবে সকলের বাড়িতে ঝাঁটা থাকলেও, আপনি কি জানেন এই ঝাঁটার সঠিক জায়গায় অবস্থানে আপনার সংসারে লক্ষ্মীর আগমন হয়।
আজকে জেনে নিন এই ঝাঁটা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা আপমি মান্য করলে সংসার ভরে উঠবে শ্রীবৃদ্ধিতে।
১) ঝাঁটা সবসময় ঘরের পশ্চিম কোণে রাখবেন। এতে সংসারে কোন ধরনের নেগেটিভ এনার্জির প্রবেশ ঘটতে পারে না।
২) ঝাঁটা দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পুরোন হয়ে গেলে, কখনই তা পোড়ানো উচিত নয়। এতে সংসারে অমঙ্গল বাসা বাঁধে।
৩) ঘর ঝাঁট দেওয়ার সময় সর্বদা খেয়াল রাখবেন যাত কারো গায়ে ঝাঁটার বাড়ি না লাগে। ঝাঁট দেওয়ার সময় কারো গায়ে ঝাঁটা লাগলে, তা অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই সবসময় ফাঁকা ঘরে ঝাঁট দেওয়া উচিত।
৪) শাস্ত্রমতে, মানুষজন নিজেদের ধন সম্পদ যেভাবে সকলের থেকে আড়ালে রাখেন, ঝাঁটাও সেভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে হয়।
৫) বাড়ির কোন সদস্য যদি কোন শুভ কাজে বা কোন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, এমন সময় বা তাঁর বেরোনোর ঠিক পড়েই ঝাঁট দেওয়া উচিত নয়। এর ফলে শুভ কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৬) ঘরের জন্য সবসময় শনিবার দেখে নতুন ঝাঁটা কিনবেন। শনিবার দিন ঝাঁটা কেনা অত্যন্ত শুভ বলে গণ্য হয়।
৭) আপনি যদি কোন ভাড়া বাড়িতে থাকেন এবং ঘর বদলানোর সময় যদি আপনার ব্যবহৃত ঝাঁটা পুরনো হয়ে যায়, তাহলে কখনই তা পুরনো বাড়িতে ছেড়ে আসবেন না। নতুন বাড়িতেও আপনার পুরনো ব্যবহৃত ঝাঁটা নিয়ে যাবেন। সেখানে গিয়ে নতুন ঝাঁটা কিনে, তারপর সেটিকে ফেলবেন। বাস্তু মতে, পুরনো বাড়িতে ঝাঁটা ফেলে আসলে, সেখানেই আপনার শ্রী বৃদ্ধি আটকে যায়, তাই নতুন বাড়িতে নিয়ে আসাই বাঞ্ছনীয়।
৮) ঝাঁটা কখনই দাঁড় করিয়ে রাখতে নেই। সর্বদা শুইয়ে রাখতে হয়।
৯) সূর্যাস্তের পর ঝাঁট দেওয়া একেবারেই উচিত নয়।
১০) সর্বোপরি ঝাঁটাকে মা লক্ষ্মীর প্রতিনিধি হিসাবে ধরা হয়। তাই ঝাঁটার সঠিক ব্যবহারে সংসারে ধনরত্ন বৃদ্ধি পায়।