বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত ১৮ দিন ধরে চলছে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ। এক পক্ষকালের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও কোনও রকম যুদ্ধবিরতির লক্ষণ দেখা যায়নি দুতরফেই। ব্যর্থ হয়েছে একাধিক বৈঠক এবং আলোচনা। রাশিয়া লাগাতার ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনের উপর। কিন্তু তা প্রতিহত করতে রাশিয়াকে প্রবল ভাবে প্রতিরোধও করছে ইউক্রেন। এখনও অবধি ইউক্রেনের দাবি, ১৩ হাজারেরও বেশি রুশ সেনাকে হত্যা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে ২০০ মিলিয়ান ডলার সামরিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছে বাইডেন সরকার।
এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আবারও রাশিয়াকে কাঠগড়ায় তুলেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের আধিকারিকদের দাবি, অসামরিক শিবিরে আবারও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। অভিযোগ, যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালায় রাশিয়ান সেনা। এখনও অবধি এই হামলায় নিহত হয়েছেন শিশুসহ ৭ জন।
এরই মধ্যে ইউক্রেনের ২০টিরও বেশি শহরে শোনা গিয়েছে বিমান হামলার সতর্কতার সাইরেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সহ জাইটোমির,লভিভ, ওডেসা, জাপোরিঝিয়া, চেরনিহিভ, সুমি সহ আরও একাধিক শহরে শোনা গিয়েছে এই হামলার সতর্কতা। যেকোনও সময়ই ওই শহরগুলির উপর হামলা চালবে রাশিয়া এই আশঙ্কায় তটস্থ ইউক্রেনবাসী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যুদ্ধ থামানোর জন্য ইউক্রেনকে চারটি শর্ত দেয় রাশিয়া। এই চার শর্তের মধ্যে রুশ অধ্যুষিত দুই এলাকাকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে শুরু করে ন্যাটো সম্পর্কিত বাধ্যবাধকতা সব কিছুই ছিল। রাশিয়া শর্ত দেয় যে ইউক্রেনকে কথা দিতে হবে ন্যাটোর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখবে না তারা। বহুদিন ধরেই ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য তৎপর ছিল ইউক্রেন। এই ব্যাপারে একাধিকবার মুখও খুলেছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ফলে এই শর্ত মেনে নেওয়ার কোনটা সম্ভাবনা না দেখা গেলেও পরে অপ্রত্যাশিত ভাবে সেই শর্ত মানতে রাজি হয় ইউক্রেন। ন্যাটোর প্রতি খানিক অভিমানবশতই জেলেনস্কি বলেন, ‘কারও কাছে কিছু ভিক্ষা চাইতে পারবেন না তিনি’। একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ক্ষোভ উগরে দেন একাধিক দেশের বিরুদ্ধেও। ইতিমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে একাধিক বৈঠক, আলোচনা। যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিতই নেই সেদেশে। রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে পৃথিবীর বহু দেশই। ফলে প্রভূত চাপের মুখে রাশিয়াও। এহেন অবস্থায় ‘বন্ধু’ ভারতের কাছেই হাত পাতছে পুতিন সরকার। কোথায় গিয়ে শেষ হবে এই যুদ্ধের? নাকি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে এই আগ্রাসন, উঠছে সেই প্রশ্নই।