৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে আমিই জিতব নন্দীগ্রামে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে কেশপুর আর নন্দীগ্রাম। এই দুই জায়গায় ভোট ঘিরে অশান্তি নিয়ে সরব হয়েছে শাসক বিরোধী দুই পক্ষ। একদিকে বিরোধী বিশেষ করে বিজেপি অভিযোগ করছে যে, কেশপুরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে দিচ্ছে না তৃণমূল। বুথ জ্যাম-ছাপ্পা ভোট এমনকি প্রার্থীর উপরে আক্রমণ করা হচ্ছে। তেমনই নন্দীগ্রামে শাসক দল উল্টে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর অভিযোগ করে আসছে।

সকাল থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে থাকলেও তিনি দুপুর ১টার পর নিজের বাড়ি ছেড়ে বের হন। এরপর সেখান থেকে তিনি সোজা নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বয়ালে চলে যান। এবং উনি সেখানে পৌঁছান মাত্রই বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ওনাকে দেখে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়া শুরু করে দেয়। তৃণমূল নেত্রী বয়ালের মাস্তুল প্রারথমিক বিদ্যালয়ের বুথে যান আর সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট আর বুথ জ্যামের অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, বিজেপি বাইরে থেকে গুন্ডা এনে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। যারা এখানে গুণ্ডামি করছে তাঁরা কেউ বাংলা ভাষা জানেন না। বয়ালের বুথ থেকে ফেরার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চিন্তিত না। মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আমি এখানে ৯০ শতাংশ ভোট পাবই। এখানে আমি জিতবই। আমি নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত না, আমি চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও দোষ নেই, ওঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশ মতো কাজ করছে। আর নির্বাচন কমিশনও নীরব বসে রয়েছে। তিনি নন্দীগ্রামে ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোটেরও অভিযোগ করেছেন।

আরেকদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বয়ালের বুথ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরই শুভেন্দু অধিকারী সেখানে যান। বিজেপির প্রার্থী বলেন, ‘বেগম এখান থেকে আর জিততে পারবেন না। মহিলাদের উপর যেই অত্যাচার হয়েছে, সেটার করায়গণ্ডায় হিসেব নেবে মানুষ। ২ মে ওনাকে ইস্তফা দিতে হবে।”


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর