সামান্য খরচেই দুর্গা দর্শন! দুর্দান্ত চমক WBTC’র, টাকার অঙ্ক শুনলে বুক না করে থাকতে পারবেন না

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোটা বঙ্গ জুড়ে শুরু হয়ে গেছে পুজোর প্রস্তুতি। আর কিছুদিন পরই শুরু হতে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। পুজোর আগে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে অসাধারণ পুজো প্যাকেজ নিয়ে আসল রাজ্যের পরিবহন দপ্তর। WBTC এর পক্ষ থেকে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিন পুজো মন্ডপ ঘুরে দেখানোর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ বাসের।

জানা গেছে সকাল আটটার সময় এই বাস ছাড়বে ধর্মতলা থেকে। এই বাস ঘুরে দেখাবে শোভাবাজার রাজবাড়ি, বেহালা রায় বাড়ি, বেলুড় মঠ-সহ একাধিক বনেদি বাড়ির পুজো। মাথা পিছু লাগবে মাত্র ১৯০০ টাকা। একই সাথে দর্শনার্থীদের দেওয়া হবে দুপুরের ও বিকালের খাবার। এই বাসে করে দর্শনার্থীরা দেখতে পারবেন একডালিয়া, সিংহী পার্ক, বাদামতলা, কলেজ স্কোয়ার, বাগবাজার- সহ শহরের একাধিক পুজো মণ্ডপ।

আরোও পড়ুন : আর যেতে হবে না পুরী! দিঘায় কবে খুলছে জগন্নাথ মন্দির, প্রকাশ্যে এল সম্ভাব্য দিনক্ষণ

এছাড়াও আরও একটি বাস ছাড়বে সপ্তমী ও নবমীর দিন। এই বাস ছাড়বে বারাসত কলোনি মোড়, ডানলপ মোড় এবং ব্যারাকপুর থেকে। এক্ষেত্রে মাথাপিছু ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ৪৫০ টাকা। সকাল ৯ঃ১৫ মিনিটে ব্যারাকপুর ছাড়া উক্ত জায়গাগুলি থেকে বাস ছাড়বে। সকাল সাড়ে আটটায় বাস ছাড়বে ব্যারাকপুর থেকে।

আরোও পড়ুন : যেন এক নিঃশ্বাসেই গিলে নেবে সর্বস্ব! প্রকাণ্ড এক জীবকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সুন্দরবনে

একটি এসি বাস সপ্তমী ও নবমীর দিন বারাসাত থেকে ছাড়বে। এক্ষেত্রে বাস ভাড়া পড়বে মাথাপিছু ১৯০০ টাকা। যাত্রীরা দুপুরের খাবার সহ বাসে পাবেন চা ও স্নাক্স। এই বিশেষ বাস পরিষেবা ছাড়াও ডব্লিউবিটিসি পুজোর সময় একাধিক পরিষেবা নিয়ে এসেছে। অফলাইন ও অনলাইন দুই পদ্ধতিতেই বুক করা যাবে বাস। অনলাইন বুক করার জন্য আপনাদের ভিজিট করতে হবে https://wbtconline.in/home – এই ওয়েবসাইটে।

Indian Bus

কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকায় মোট ১৩টি কাউন্টার রয়েছে যেখান থেকে আপনারা অফলাইন বুকিং করতে পারেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে ডাব্লুবিটিসি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছে, যাতে আপনারা বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। ৯৮৩০১৭৭০০০ – এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে আপনারা এই বিষয়ে বিশদ জানতে পারেন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর