বাংলা হান্ট ডেস্ক : ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। রাজভবনে হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের পরেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C.V. Ananda Bose)। কেন? সূত্রের খবর, দুপুরে দিল্লি থেকে জরুরি তলব করা হয় রাজ্যপালকে। আগামীকাল, শুক্রবার উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক।
পরিকল্পনা মতোই সরস্বতী পুজোর দিন বাংলায় হাতেখড়ি হয়ে গেল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose)। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা (Bangla) লেখা ও বলা শুরু করলেন রাজ্যপাল। তাঁর হাতে বর্ণপরিচয় তুলে দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। স্লেটে বাংলা অক্ষর লিখে শুরু করেন অক্ষরজ্ঞান। ‘মা’ ও ‘ভূমি’ শব্দের উচ্চারণ করে শিখলেন বাংলা। বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাজ্যপালের প্রতীকী হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হল বেশ ঘটা করেই।
রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও পুলিস কমিশনার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অনুষ্ঠানে না গেলেও, উপস্থিত ছিলেন তথাগত রায়।এদিন সকলের উপস্থিতিতে মালায়ালি ভাষায় রাজ্যপালকে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মালায়ালি ভাষা শেখার ইচ্ছাপ্রকাশও করেন মমতা।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানে থাকবেন না শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), একথা জানিয়ে দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজোর দুপুরে বিরোধী দলনেতা নিজেই টুইট করে সে কথা জানান। কেন তিনি রাজভবনে যাচ্ছেন না, তাও জানিয়ে বলেন, রাজ্যপালকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার ইস্যু চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ‘প্রথমেই ভুল মাস্টারের কাছে হাতেখড়ি হলে, ভুলই শিখবেন।’ সর্বোপরি রাজ্যপালের বাংলায় হাতেখড়ি ঘিরে প্রবল রাজনৈতিক চাপানউতোর দেখা গেছে দিনকয়েক ধরেই। এরই মধ্যে রাজ্যপালকে তলব বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।