বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের (TMC) একের পর এক নেতা বিদ্রোহ করছেন প্রকাশ্যে। প্রথমে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sarkar)। তারপর শ্রীকান্ত মাহাতো (Srikanta Mahato)। এর পর নিজর দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি শৈবাল গিরি (Shaibal Giri)। শৈবালবাবু পশ্চিম মেদিনীপুর (West Mednipore) জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদেও রয়েছেন। দলেরই এক কর্মীর সঙ্গে তাঁর কথপোকথনের একটি অডিয়ো ক্লিপ নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। শুধুমাত্র জেলা নেতৃত্বই নয়, দলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও তাঁকে অভিযোগ করতে শোনা গেছে।
ভাইরাল হওয়া ওই অডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ভুল জায়গায় রাজনীতি করেছি। এখন সবই পয়সার খেলা,। আইপ্যাক-এর খেলা চলছে। অভিষেক জানেই না আইপ্যাক টাকা নিচ্ছে।’ দলনেত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের সঙ্গে নয়, চোর ডাকাতদের সঙ্গে দেখা করছেন দিদি।’ সম্প্রতি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শৈবালকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন গোপাল খাটুয়া। এর পর তিনি ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ বজায় রেখেই বলেন, ‘দলে সাম্প্রতিক যা ঘটছে তাতে রাস্তাঘাটে মুখ দেখানো যাচ্ছে না। মানুষ নানা প্রশ্ন করছেন। আমি দিদিকেও বিষয়টি বলেছি।’
তাঁর অডিও রীতিমতো ভাইরাল। বিষয়টি জানেন শৈবাল গিরিও। এই বিষয়ে তিনি বলেন ‘দলের এক কর্মী চা খেতে ডেকে আমাদের কথপোকথন ফোনে রেকর্ড করেছেন। আমার ক্ষতি করার উদ্দেশেই সে ওই কাজ করেছে। যদিও আমার কোনও ক্ষতি সে করতে পারবে না। এখন মনে হয় কলেজ জীবন থেকে রাজনীতি করাটাই ভুল হয়েছিল।’
দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়ে বলেন, ‘পাগলের প্রলাপ বকছেন। তার কথার কী উত্তর দেব। শৈবাল দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। দলই তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’
এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ভোলেনি বিজেপিও। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর গুচ্ছাইত বলেন, ‘আজ শৈবাল গিরি গেছে। কাল অন্য কেউ যাবে। আস্তে আস্তে দলের সমস্ত কর্মীরাই নেত্রীর বিরুদ্ধে চলে যাবে। যার প্রতিফলন শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে।’ তবে শৈবালের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।