বাংলাহান্ট ডেস্ক : সিপিসি (CPC) বা কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়নার (China)নির্বাচন আসন্ন। সেই উপলক্ষেই বেজিং (Beijing)-এর কাছেই বিদাহে শহরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বেঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যই ছিল সিপিসির নির্বাচন। একটি ওয়েবসাইট দাবি করছে সিপিসির আগামী দলীয় সম্মেলনে এই নির্বাচন নিয়েই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির এই সম্মেলন আগামী অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এবং সম্ভবত সেখানেই নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
চলতি সপ্তাহে সিপিসি-র যে বৈঠক হয় সেখানে একটি নাম সবায়ের সামনে উঠে আসে। সেটি হলো বর্তমান চিনের উপপ্রধানমন্ত্রী হু চুনহুয়া। জানা যাচ্ছে, অক্টোবরের পার্টি কংগ্রেসে হয়তো হু চুনহুয়াকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি কিচিয়াঙ্গ যে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না তা তিনি আগেই ঘোষণা করেছেন। জানা যাচ্ছে, হু চুনহুয়ার সঙ্গে আবার জিন পিং-এর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। তাই চুনহুয়া প্রধানমন্ত্রী হলে চিনে জিন পিং-এর একছত্র আধিপত্য শেষ হতে পারে।
প্রত্যেক বছর চিনে সিপিসির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠের শুরুতেই সিপিসির নেতাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা রক্ষার চেষ্টা করা হয়। জানা যাচ্ছে এই বৈঠকের পরই জিন পিং চলে যান অন্য প্রদেশে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী লি কিচিয়াঙ্গ অন্য প্রদেশে একটি বৈঠকে যোগদান করেন।
চিনে রাষ্ট্রপতির পরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ হলো প্রধানমন্ত্রীর পদ। বৈঠকের পরই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকার প্রথমেই অন্য শহরে চলে যাওয়ার অর্থ তাদের মধ্যে বনিবনার অভাব। এমনই জানাচ্ছে চিনের একটি দৈনিক সংবাদ পত্র।
তবে একটি বিষয় স্থির, যে তৃতীয় বারের জন্য রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হবেন জিনপিং। কিন্তু চিনহুয়া যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে জিনপিং নিজের ইচ্ছামত আর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
এই মুহুর্তে চিনের চার জন উপপ্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একজন হলেন হু চুনহুয়া। তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় যুব কমিউনিস্ট হিসাবে। মঙ্গোলিয়ার সচিব পদও দক্ষতার সঙ্গেই সামলান তিনি। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। তাই পার্টি প্রধানমন্ত্রী পদে চুনহুয়াকে চাইছে বলেই জানা যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি এটাও জানা যাচ্ছে, ৫৭ বছর বয়সী হু যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে জিনপিং-এর পর তিনিই চিনের রাষ্ট্রপতি পদে সবচেয়ে বড় দাবিদার। এখন দেখার অক্টোবর মাসের নির্বাচনে হু চুনহুয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন কিনা।