বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারক (CJI) রঞ্জন গগৈ (Ranjan Gogoi) উত্তর প্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং আর মুখ্য সচিব রাজেন্দ্র তিওয়ারি কে তলব করলেন। শোনা যাচ্ছে যে, রাম জন্মভূমি আর বাবরি মসজিদ ভূমি বিবাদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সম্ভাবিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগামী পর্ব এবং রাম জন্মভূমি – বাবরি মসজিদ ভূমি বিবাদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসার আগে প্রসাশনিক এবং পুলিশ আধিকারিকদের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্য সরকারের মুখপাত্র অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, যেকোন পরিস্থিতিতেই রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে হবে। আর এরজন্য গোটা প্রশাসন আর পুলিশ আধিকারিকদের সজাগ থাকতে হবে। উনি পরিস্কার করে দিয়েছেন যে, আইন-শৃঙ্খলাকে প্রভাবিত করা উপদ্রবিদের বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া হয়। দুষ্কৃতী এবং পরিস্থিতি খারাপ করতে চাওয়া মানুষ গুলোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ লখনউয়ে নিজের সরকারি আবাসে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে পুলিশ আধিকারিক এবং প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। উনি অযোধ্যা সমেত রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় আইন ব্যাবস্থার সমীক্ষা করেন। উনি রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপিত করা এং দ্রুত সঞ্চালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নিয়ন্ত্রণ কক্ষে লাগাতার ২৪ ঘণ্টা কাজ চলবে।
মুখপাত্র জানান, যোগী অযোধ্যা এবং লখনউ এর জনপদের জন্য একটি করে হেলিকপ্টারের ব্যাবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। উনি আধিকারিকদের জানিয়েছেন যে, শান্তি সমিতির বৈঠকের সাথে সাথে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ধার্মিক গুরু, সন্মানিয় ব্যাক্তি এবং সামাজিক কার্যকরতাদের সাথে যোগাযোগ করতে। এছাড়াও রায় আসার পর জুলুস গুলো যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেটা দেখার জন্যও কড়া নির্দেশিকা জারি করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নির্দেশ দিয়েছেন যে, উৎসব এবং পরবের আড়ালে অব্যাবস্থা আর অরাজকতা সৃষ্টি করা মানুষদের যেন কোনরকম ভাবেই ছাড় না দেওয়া হয়। উনি সুরক্ষা কড়া করার জন্য প্রশাসনকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছেন। মুখপাত্র জানান, উনি অযোধ্যা জনপদের সাফ-সাফাই আর বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করা এবং অযোধ্যা যাতায়াতের সমস্ত রাস্তা গুলোতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাবস্থা নিতে বলেছেন।