কথিতভাবে ভারত এক ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুবহুল দেশ, যেখানে প্রত্যেক ব্যাক্তির নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও ধৰ্মনিরপেক্ষতার আড়ালে এক শ্রেণীর দমন ও অন্য শ্রেণীর তোষণের খেলা চলতেই থাকে। আর এই তোষণের কারণে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক হিংসা, লড়াই, ভেদাভেদ। বর্তমানে ধার্মিক স্বাধীনতা পালন করতে গিয়ে পরিস্থিতি এমন সংবেদনশীল হয়ে উঠে যে, প্রশাসন পর্যন্ত স্থিতি সামলাতে হিমশিম খায়। উদাহরণস্বরূপ বিগত কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে রাস্তায় নামাজ পড়ার বিরোধ জানাতে হিন্দুরা রাস্তায় হনুমান চল্লিশা পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সেক্ষত্রে পুলিশ প্রশাসন হিন্দুদের বাধা প্রদান করে। সমস্ত কিছুর পেছনে তোষণের হাত রয়েছে।
তবে উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন রাজ্যের পরিস্থিতিকে সামলা দেওয়ার জন্য একের পর এক বড়ো পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। তোষণের রাজনীতি থেকে উপরে উঠে যোগী আদিত্যনাথের সরকার প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছে। সম্প্রতি বিজনোরের এক মাদ্রাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র পাওয়া গেছিল। এখন যোগী সরকার মাদ্রাসাগুলির উপর বিশেষ নজর দিতে চলেছে। অখিলেশ ও মায়াবতীর আমলে মাদ্রাসাগুলি আতঙ্কবাদীর ফ্যাক্টরি হয়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। যোগী সরকার মাদ্রাসাগুলিকে সরকারের কড়া নজরে এনে সিলেবাস ইত্যাদি পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।
যোগী সরকার মাদ্রাসাগুলিতে NCRT সিলেবাস জারি করে পরিচালিত করবে। একইসাথে মাদ্রাসায় উর্দুভাষী শিক্ষক থাকতেই হবে এই নিয়মের পরিবর্তন করা হবে। উর্দু না জানা শিক্ষকদেরও মাদ্রাসায় নিয়োগ করা সম্ভব হবে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে মাদ্রাসায় অস্ত্র পাওয়া গেছে সেই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মাদ্রাসাগুলিতে অনেক সময় দেশ বিরোধী শিক্ষা প্রসারিত করা হয় বলে অভিযোগ। সরকার মাদ্রাসাগুলির শিক্ষায় এমনকিছু আনার চেষ্টায় রয়েছে যা ছাত্ৰদের মধ্যে দেশভক্তির জন্ম দেবে।