বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তুরে হিমেল বাতাস জানান দিচ্ছে শীতের। কয়েকদিনেই তাপমাত্রার পারদ নেমেছে বেশ খানিকটা। সন্ধ্যে হলে গায়ে কিছু না দিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো কার্যত মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এরইমধ্যে মিষ্টি রোদ গায়ে দিয়ে শীতের ডেস্টিনেশনে (Winter Destination) বেরিয়ে পড়ছেন অনেকে। কিন্তু হঠাৎ একদিনের ছুটিতে যাবেন কোথায়? চিন্তা নেই, এক অখ্যাত কিন্ত আকর্ষণীয় ডেস্টিনেশনের খোঁজ নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা।
উইকেন্ড ডেস্টিনেশন হোক বাঁকুড়া
শীত মানেই জম্পেশ খাওয়া দাওয়া এবং ভ্রমণে বেরোনো। পিকনিক করার আদর্শ সময় এই শীত ঋতু। উইকেন্ডে কোথায় যাওয়া যায় সেই নিয়ে ব্যতিব্যস্ত অনেকে। আজ আমরা অনেক খুঁজে নয়া পাহাড়ের খোঁজ নিয়ে হাজির হয়েছি। সপ্তাহের শেষে বেরিয়ে পড়ুন বাঁকুড়ার (Bankura) কোড়ো পাহাড়ের (Koro Pahar) উদ্দেশ্যে।
কী আছে এখানে?
এই কোড়ো পাহাড় বাঁকুড়া শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সবুজ বনানীতে ঢাকা ছোট্ট পাহাড় এটি। পাহাড়ের উচ্চতা যদিও খুব বেশি নয় , মেরেকেটে ৫০০ ফুট মতো হবে। কিন্তু পাহাড়ের সৌন্দর্য অবিস্মরণীয়। আর পাহাড়ের রূপকে আরো অনবদ্য করে তুলেছে পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলা শালি নদী। চারিদিকে ঘন সবুজ বনানী।
আরও পড়ুন : শীতের পথে বাধা ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’! দক্ষিণবঙ্গে কী প্রভাব? কেমন থাকবে আবহাওয়া? IMD রিপোর্ট
পাহাড় চূড়ায় রয়েছে অষ্টভূজা পার্বতীর মন্দির
কোড়ো পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে পবিত্র অষ্টভূজা পার্বতীর মন্দির। সেখানে পূজো দিয়ে সামনে থাকা আশ্রম ঘুরে আসতে পারেন। বেলা সকাল ৯টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা। শীতের সময়অবশ্য সন্ধে ঝুপ করে নামে বলে মন্দিরের দরজাও চটজলদি বন্ধ হয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, জনবসতি কম থাকায় বেশ নিরিবিলিতেই সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন : দাদা ইউভানের সঙ্গে মিল! রাজ-শুভশ্রীর কন্যার নামের অর্থ জানলে অবাক হবেন আপনিও
রয়েছে এক আশ্রমও
খুব বেশি নামডাক না থাকায় এখানে সেরকম ভিড় নেই। বাঁকুড়া থেকে অমরকানন যাওয়ার পথে পড়ে এই পাহাড়। অমরকানন যাওয়ার পথে ছোট্ট সাঁকো পার করে এক কিলোমিটার মতো এগোলে চোখে পড়বে ‘মহিমানন্দ তপোবন আশ্রম’। এরপর রাস্তা ধরে এগোলেই পৌঁছে যাবেন কোড়ো পাহাড়ে। পার্বতী মন্দিরের সঙ্গে যে আশ্রম রয়েছে সেটাই ‘মহিমানন্দ তপোবন আশ্রম’। এই আশ্রম থেকে এগিয়ে গেলেই চোখে আসবে পাহাড়ে ওঠার সিঁড়ি।