আমরা ভাবি শরীর ভালো রাখার জন্য আমরা নিজেরা নিজেদের মতন যেটা ভেবে খাই,সেটাই ভালো আসলে কিন্তু তা নয়। আমাদের শরীর ভালো রাখতে আর সুস্থ রাখতে শরীরের ব্লাড গ্রুপ মেনে খাওয়া দরকার। আর তার মধ্যে আবার প্রপার ডায়েট মেনে চলাও খুব দরকার। আর রক্তের ধরণ অনুসারে এই খাবার খাওয়ার যে তালিকা রয়েছে তা প্রথম আবিষ্কার করেন পিটার ডি’আদামো।
তিনি বলেছেন, রক্তের গ্রুপ অনুসারে তৈরি করা খাদ্যতালিকা অনুসরণ করে চলে ওজন এবং শরীর থাকবে নিয়ন্ত্রনে আর শরীরও থাকবে সুস্থ।আর এই বিশেষ ধরণের ডায়েটকে ব্লাড গ্রুপ ডায়েট বলা হয়।এবার আসা যাক মুল বক্তব্যে এ গ্রুপের ব্লাড যাদের তারা বেশি করে শাকসবজী খান। পাশাপাশি নিরামিষ খাবার খাওয়াও ভীষণভাবে দরকার।এক ঝলকে দেখে নিন এ ব্লাড গ্রুপের মানুষরা কোন কোন খাবার খাবেন। ব্রকলি, সেলেরি, বীট, প্রচুর পরিমাণে মরশুমি ফল (বিশেষ করে তরমুজ, আপেল, পেয়ারা, রাসবেরি), লেটুস পাতা, থানকুনি পাতা।পাশাপাশি, মাশরুম টোফু, সয়া মিল্ক, বিভিন্ন শস্য-জাতীয় খাবার, রসুন, মৌরি, মাশরুম, ওটস, ব্রাউন ব্রেডের মতো খাবার বেশি করে খাদ্যতালিকায় রাখুন।
যেধরণের খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে এমন খাবার বাদ দেওয়াই ভালো।বি ব্লাড গ্রুপ যাদের তাদের শাকসবজি এবং মাংসস খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় যেধরণের খাবার রাখা যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে- মাংস (খাসি, ভেড়া), পনির, নারকেল, কোকোনাট মিল্ক, মাশরুম, আনারস, স্ট্রবেরি, আম, দুগ্ধজাত পণ্য (যেমন দুধ, দই), দানাশস্য এবং প্রচুর পরিমাণে ফল।তবে আপনার যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা থাকে ডাল, বাদাম, তিল, গম-এর মতো নানাধরণের শস্যজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
এবি ব্লাড গ্রুপ তাদের ক্ষেত্রে এই ব্লাড গ্রুপের মানুষরা তাঁদের খাদ্যতালিকায় সামুদ্রিক মাছ যেমন টুনা মাছ, সার্ডিন মাছ, টফু, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, ফলের মধ্যে আপেল, শশা, ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি, জলপাই, পিচ, তারপর গাজর, ডুমুর, পেঁয়াজ, ঢেঁড়স, ঢেঁড়শ, টমেটো-র মতো খাবার রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।ও- এই গ্রুপের মানুষরা খাদ্যতালিকায় ডিম, দুধ, মুরগীর মাংস, হাঁসের মাংস, ডাক পাখির মাংস, চিংড়ি মাছ, টুনা মাছ, স্যলমন মাছ, ক্র্যাব মিট, ইত্যাদি খাওয়া উচিত।অন্যদিকে সবজির মধ্যে আদা, পেঁয়াজ, রসুন, লেবু, লেটুস, বীজ রয়েছে এমন ফল যেমন চেরি, খেঁজুর, বেদানা, টমেটো, কিউই, সেইসঙ্গে আখকোট কিসমিস এই ধরণের খাবার খাওয়া যেতে পারে।