মাথায় শিং, মুখে অজস্র শুঁড়, আতঙ্কের নতুন নাম ‘জম্বি’ খরগোশ!

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক- কলোরাডোর রাস্তায় ঘুরছে শিংওয়ালা জম্বির দল! মাথায় অজস্র শিং এবং মুখে ভর্তি অজস্র শুঁড়ওয়ালা নতুন এই জম্বির (Rabbit) ভয়ে জবুথবু স্থানীয়রা। আদৌ কি তারা জম্বি নাকি অন্য কোনও বীভৎস প্রাণী! আসলে কদাকার বীভৎস দেখতে প্রাণীটি খরগোশের প্রজাতি, যার নাম কটনটেল খরগোশ। বিশ্রী কদাকার দেখতে বলে সেখানকার স্থানীয়েরা নাম দিয়েছেন জম্বি র‌্যাবিট।

আতঙ্ক ছড়াচ্ছে খরগোশ

গত এক মাস ধরে কলোরাডোয় এই শিংওয়ালা খরগোশদের ঘুরতে দেখা যায়। যার ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই ‘আমেরিকান ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন’ এই শিংওয়ালা খরগোশদের উপর নজর রাখে। জানা যায় কটনটেল প্রজাতির এই খরগোশ আদতে নিরীহই। বিশেষ এক রকম অসুখের জেরেই তাদের এই শিং ও শুঁড় গজিয়েছে বলে জানিয়েছেন পশু চিকিৎসকেরা। শোপ প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে তারা এই রোগে আক্রান্ত যা অত্যন্ত ছোঁয়াচে।

শোপ প্যাপিলোমা ভাইরাস ও তার প্রভাব

১৯৩০-এর দশকে ডঃ রিচার্ড ই. শোপ প্রথম শনাক্ত করেন, শোপ প্যাপিলোমাভাইরাস। যার সংক্রমণের জেরে প্রথমে শরীরে ছোটো ছোটো আঁচিলের মতো দেখালেও বড় হলে শিংয়ের মতো আকার ধারণ করে। আদতে সেগুলি মাংসের পিণ্ড রূপী টিউমার। কোষের অনিয়মিত বিভাজন ও দ্রুততার সঙ্গে সেগুলি বৃদ্ধি পাওয়াতে, তা ত্বক ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসছে। এই টিউমার যন্ত্রণাহীন হলেও তা ক্রমেই শরীরের আরও নানা অংশে ছড়িয়ে যায়। ভাইরাসটি খরগোশের মধ্যে মাছি এবং টিক্সের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে সক্রিয় থাকে।

আরও পড়ুন : ‘অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই নেই’, ডার্বিতে লাল-হলুদ ঝড়ের মাঝেই CAA-র দাবিতে এক হল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল

কলোরাডোর চিকিৎসকদের দাবি, শোপ প্যাপিলোমা ভাইরাস সাধারণত পশুপাখির শরীরেই ছড়ায়। তবে পোষা খরগোশ এই রোগে আক্রন্ত হলে সেখান থেকে মানুষের শরীরেও এই ভাইরাস ঢুকতে পারে কি না, সেই নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায়নি। তবে সাবধানের মার নেই। এমন শিং ও শুঁড়ওয়ালা খরগোশ দেখলে তাদের কাছে যেতে বা তাদের গায়ে হাত দিতে বারণ করছে বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও বাড়ির অন্যান্য পোষ্যদেরও এই সময়ে আরও বেশি সাবধানে রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।