সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ে নিয়ে নানারকম মজাদার কাহিনী ভাইরাল হতে দেখা যায়। কখনো যেমন তা মজাদার হয়, কখনো আবার কান্ডকারখানা দেখে হতবাক হন নেটজনতা। এমনি এক ঘটনা ঘটলো মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া এলাকায়। যেখানে ১৮ বছরের পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে ৪২ বছরের এক ব্যক্তির।
নিশ্চই অবাক হচ্ছেন! এই ঘটনা তো আশ্চর্য হবার মতোই। এমনকি মেয়ের বাবার থেকে পাত্র ৬ বছরের ছট। সরকারি চাকরি করা পাত্রের সঙ্গে নিজেদের একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন ওই বাবা। পাত্র মুর্শিদাবাদ এলাকার এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। আর এই সরকারী চাকুরী জামাই পাবার জন্য একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিতে উদ্যোগী হন পাত্রীর বাবা।
আর মেয়ের বিয়েতে জাঁকজমক করে সব অনুষ্ঠান করেছেন পাত্রীর বাবা। কোনোরকম ফাঁক রাখেননি নিজের মেয়ের বিয়েতে। ঢাকঢোল, বাজনা সব কিছুই ছিল সেই বিয়েতে। আত্মীয়স্বজন নিয়ে জমজমাটি অনুষ্ঠানে মেতেছিল পরিবার। আর এই খবর প্রকাশ পেতেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন জলঙ্গী এলাকার প্রশাসনিক কর্তারা। বিয়ে বন্ধ করার জন্য নয়, বরং বোঝানোর উদ্দেশ্যেই তারা এসেছিলেন।
প্রথমে পাত্রীর মতামতের কথা জেনে নিয়ে পাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রশাসনিক কর্তারা। পাত্রীর বাবাকে পুরো বিষয় বুঝিয়ে বলেন তারা। এরপর নিজের ভুল বুঝতে পারেন পাত্রীর বাবা। রূপশ্রী প্রকল্পের খোঁজখবর নিতে তারা আসেন। প্রত্যেকের একটাই প্রশ্ন- সরকারি চাকরির জন্য নিজের মেয়েকে এরকমভাবে বিয়ে দেওয়া কি বাবা-মায়ের উচিত? আবার ওই শিক্ষক পাত্র কিভাবে একজন সন্তানতুল্য মেয়েকে বিয়ের জন্য রাজি হন? বাবা-মায়েদের এহেন কাজ সন্তানের জন্য কতটা অন্যায়ের সেই নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে।