বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (COVID-19) পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের থেকে বহুবার বহুবিষয়ে সাহায্য চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কখনও আর্থিক সহায়তা, তো আবার কখনও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিষয় সাহায্য। সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পরে এ রাজ্যের জন্য পিপিই পাঠায় কেন্দ্র সরকার। আর্থিক সাহায্যের মতই কেন্দ্রের পাঠানো পিপিই তে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী। পিপিইর রং হলুদ হওয়ায় বিভ্রান্তের সৃষ্টি হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘এতদিন সমস্ত ডাক্তারদের দেখেছি সাদা পোশাক পড়তে। আবার কোথাও কোথাও ছাই রঙের বিশেষ পোশাক, নিল বা আকাশি রঙেরও পোশাক পড়েন। আবার কিছু কিছু হাসপাতালে নার্সদের গোলাপি রঙের পোশাকও পড়তে দেখা যায়। কিন্তু হলুদ রঙ রং কেন? এই হলুদ রঙটা ডাক্তারদের কিসের সঙ্গে মিল খাচ্ছে আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। আবার করোনা ভাইরাসের সঙ্গেও এর কোন মিল আছে কিনা সে বিষয়েও আমার জানা নেই’।
আবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘বারবার চেয়েও কেন্দ্রের কাছ থেকে মাত্র তিন হাজার পিপিই পেয়েছে রাজ্য় সরকার, যা এই রবিবারে পাওয়া গেছে। তবে এখনও কেন্দ্রের তরফ থেকে ৯ লক্ষ পিপিই পাবে রাজ্য। প্রতিদিন মাত্র ১৫ হাজার পিপিই পাচ্ছে রাজ্য। কিন্তু লকডাইনের সময়ে যান চলাচলে অসুবিধা হওয়ায় চিকিৎসকদের কাছে তা পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছে’।
আবার কিছুদিন আগেই পিপিই দেওয়ার বদলে চিকিৎসকদের রেইন কোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের বিরুদ্ধে। যার জেরে বিরোধীরা কাঠগোড়ায় দাঁড় করায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকায় ডাক্তাররা রেনকোটের মতো পিপিই ব্যবহার করে। এখানেও প্রথমে ওই ধরনের দু একটা পিপিই দেওয়া হয়েছিল, যার জেরে এই কথা উঠেছে। তবে ডাক্তারদের আর ওই ধরণের পোশাক দেওয়া হচ্ছে না। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সেগুলো আর ব্যবহার করা হবে না। তবে এখনও প্রায় ৩০ হাজার ওই ধরণের পোশাক রাজ্যের কাছে রয়েছে’।