বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোটা দেশকে পিছনে ফেলে আরও একবার সেরার মুকুট উঠল বাংলার মাথায়। মহিলাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভারতের মধ্যে সেরা পশ্চিমবঙ্গই। তাদের পাঁচ বছরের সমীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানালো সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি নামের কেন্দ্রীয় এক সংস্থায়।
গত পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যানের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছে যে শুধুমাত্র ২০২২ সালেই জানুয়ারি মাস থেকে এপ্রিল মাস অবধি পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান হয়েছে ৪৩.৭১ লক্ষ মহিলার। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল অবধি সময়ের মধ্যে এই কর্মসংস্থানের সংখ্যাটি ছিল ৩৩.৬২ লক্ষ। বিগত ৫ বছরে প্রায় ১০ লক্ষ বেড়েছে মহিলাদের কর্মসংস্থান। ২০২২ সালের প্রথম চার মাসের পরিসংখ্যান পেরিয়ে গেছে গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর অবধি পরিসংখ্যানকে।
অর্থনীতির মাপকাঠিতে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সবকটি বিভাগেই শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গুজরাটকেও মহিলা কর্মসংস্থানের নিরিখে বড়সড় টেক্ক দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। গত পাঁচ বছরে গুজরাটে মহিলাদের কর্মসংস্থান বেড়েছে ৮.৬৭ লক্ষ। যা কিনা বাংলায় পেরিয়ে গিয়েছে ১০ লক্ষ। অর্থাৎ গুজরাটে গত পাঁচ বছরে মহিলা কর্মসংস্থান বেড়েছে বাংলায় তুলনায় ১.৪২ লক্ষ কম।
গত পাঁচ বছরে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে বাংলার মহিলাদেরই। করোনা পরিস্থিতিতে মারাত্মক হয়ে উঠেছিল মহিলাদের কর্মসংস্থানের অবস্থা। কাজ ছাড়তে বাধ্য হন অগণিত মহিলা। কিন্তু দেশজুড়ে মহিলারা কাজ ছাড়তে বাধ্য হলেও বাংলার মহিলারা বরং এগিয়ে গেছেন কর্মক্ষেত্রে। ফলে দেশে শীর্ষ আসনে বসেছে বাংলা।
বরাবরই মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতন প্রকল্প, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মহিলাদের নামেই পরিবারের পরিচয়ের মতন বিরাট সামাজিক স্বীকৃতি, বিধবা ভাতার বয়স কমিয়ে ১৮ তে নামিয়ে আনা প্রভৃতি পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলার মহিলাদের এক কদম এক কদম করে এগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও মহিলা পরিচালিত সমবায় সমিতিগুলির সশক্তিকরণ, সবলা মেলা ইত্যাদিও এগোতে সাহায্য করেছে বাংলার নারীদের। সব মিলিয়ে এহেন সেরার তাজ মাথায় পরে খুশির ঝলক বাংলার নারীদের মুখে।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট