জামাইষষ্ঠীর আগে জালে ধরা পড়ল ৮০ কেজির দৈত্যাকার মাছ, বিক্রি হল ৩৬ হাজার টাকায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। সেই বারো মাসের দ্বিতীয় মাস জ্যৈষ্ঠের উৎসব জামাইষষ্ঠী। রাত পোহালেই বাঙালি কন্যার মা-বাবারা জামাইকে নেমন্তন্ন করে খাওয়াবেন। শ্বশুরবাড়িতে ভূরিভোজ করবেন জামাইবাবাজিরা। সকালে ফলাহার দিয়ে শুরু হয় জামাই-অপ্যায়ন। তার পর মিষ্টি থেকে নানা ব্যঞ্জন।

আগামীকাল জামাইষষ্ঠী। যার ফলে বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে মাছ, মাংস, সবজি, ফল। গত দুই বছর করোনার কারণে মন্দা গেছে জামাইষষ্ঠীর বাজার। এই বছর তাই সুদে আসলে উসুল করে নেবে ব্যবসায়ীরা। আর তার মধ্যে এক বিশালাকার আড় মাছ ধরা পড়লো তিস্তা নদীর মৎস্যজীবীর জালে। জামাই ষষ্ঠী বাজারে এই মাছের দাম উঠল ৩৬ হাজার টাকা।

ময়নাগুড়ির দোমহনীর বাসু দাস নামের এক মৎস্যশিকারির জালে শুক্রবার ধরা পড়েছে মাছটি৷ আড় মাছটির ওজন ৮০ কেজি। মাছটিকে দেখতে জলপাইগুড়ি প্রচুর মানুষ ভিড় জমান তিস্তা নদীর পাড়ে।পাশাপাশি এতবড় মাছটির ফোনে ছবিও তোলেন। এরপর মাছটি বাজারে নিয়ে যেতেই কেল্লাফতে।৩৬০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে যায় মাছটি।

এই ঘটনায় দোমহনী অরনবপল্লীর বাসিন্দা মৎসজীবী বাসু দাস বলেন, “জামাইষষ্ঠীর আগের দিন এত বড় মাছ পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আগে দু’বছর করোনার কারণে জামাইষষ্ঠীর বাজার খুব মন্দা গেছিল। তবে এই বারে মাছটি আমি ৩৬ হাজার টাকায় বাজারে বিক্রি করেছি। এতবড় মাছ আগে কোনোদিন কারোর জালে উঠেছে বলে মনে হয় না। প্রচুর মানুষ মাছটিকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিল। ‘আর কথাতেই তো আছে মাঝে ভাতে বাঙালি। তাই জামাইষষ্ঠী যে জমজমাট কাটবে একথা বলা বাহুল্য।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর