বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে উদয়পুরের ধাঁচে এবার রাজ্যেও কংগ্রেসের দু’দিনের নবসংকল্প শিবির বসেছে। এখন রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসাবে কলকাতায় রয়েছেন তামিলনাড়ুর সাংসদ চেল্লা কুমার, ওড়িশার নেতা শরৎ রাউত এবং দিল্লির নেতা বি পি সিং। প্রদেশ নেতৃত্বে বদলের প্রসঙ্গ তার মাঝেই উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, অধীর চৌধুরিকে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও, শনিবারের বৈঠকে এআইসিসি নেতৃত্বের সামনে এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি তবে প্রদেশ নেতৃত্বের মধ্যে নানা মত প্রকাশ্যে এসেছে এদিন। এ নিয়ে দিল্লির দরবারে একাধিক দাবি, তার সমর্থনে একাধিক মতও জমা পড়েছে।
কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে এক ব্যক্তি এক পদ, সেই সূত্রে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বর্তমানে শতাব্দী প্রাচীন দলের লোকসভার দলনেতা আবার একই সঙ্গে বাংলা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি। তাই এর মধ্যে একটি পদ অধীর বাবুকে ছাড়তে হবে বলেই প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। যদিও কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা হিসেবে সামনে রাখা হবে এই যুক্তিকে, কিন্তু এর পিছনে অন্য কারণের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যে একচ্ছত্র আধিপত্যে দল চালানোর অভিযোগ রয়েছে অধীরের বিরুদ্ধে। একুশের নির্বাচনে সিপিআইএমের সঙ্গে জোট বেঁধে চলার একচ্ছত্র সিদ্ধান্তের জেরে অধীরকে সরানো হচ্ছে। তাছাড়া কলকাতায় পি চিদম্বরমকে হেনস্তা করাও তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে। স্বয়ং বীরাপ্পা মইলি অধীরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন।
জানা গিয়েছে যে, অধীরকে সরিয়ে যাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে তাঁর সঙ্গে চারজন কার্যকরী সভাপতির কমিটি থাকবে। সর্বপরি, কর্মীদের আবেগকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও চেল্লা কুমারের তরফে জানানো হয়েছে। চেল্লার কথায়, ‘নিজেদের তৈরি থাকতে হবে।’ ৮ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে সংকল্পযাত্রা হবে।