বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর বিল ইতিমধ্যেই পাশ হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়। এবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদেও রাজ্যপালের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর বিল বিধানসভায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। জানা যাচ্ছে, স্নাতক স্তরে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তির বিষয়টি সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়েছে।
বহুকাল আগে থেকেই পদাধিকারবলে রাজ্যপাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ অলংকৃত করেন। এ বার সেই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে আনার চেষ্টায় প্রথম থেকেই শিক্ষা, রাজনীতি থেকে শুরু করে প্রায় সব স্তরেই তর্ক-বিতর্ক জোরালো হয়ে উঠে এসেছে। এর মধ্যেই উচ্চশিক্ষা-সহ বিভিন্ন দফতরের অধীনস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে আগেই। এবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও আসতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর আওতায়। এই বিশ্ববিদ্যালয় আছে সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা দফতরের হাতে। সেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেও বিশেষ সংশোধন করে মুখ্যমন্ত্রীকেই আচার্য পদে বসানো হবে বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
এই বছর থেকে স্নাতক স্তরে ভর্তি হবে অনলাইনে একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে। একথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অনেক আগেই জানিয়েছিলেন। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে উচ্চশিক্ষা সংসদের অধীন ওই পোর্টালের সাহায্যেই ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবে। স্বশাসিত ও সংখ্যালঘু কলেজগুলিকে ওই কেন্দ্রীয় পোর্টালের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
সূত্র মারফত খবর, আইএসসি এবং সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরই কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। সংখ্যালঘু, স্বশাসিত কলেজেও ওই একই দিনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। তবে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পরে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো নিয়ে আবারও নতুন করে রাজনীতিতে তর্জা শুরু হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।