বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিধানসভায় উপস্থিতি নিয়ে কড়া শাসক দল। আগে থাকে না জানিয়ে বিধানসভায় অনুপস্থিত হওয়া বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে যে সমস্ত বিধায়ক অনুমতি ছাড়াই অধিবেশনে গরহাজির ছিলেন তাঁদের আলাদা ভাবে চিহ্নিত করছে তৃণমূল পরিষদীয় দল।
দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে ১৬/১৭ জন বিধায়কের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। চিহ্নিত বিধায়কদের কৈফিয়ত তলব করা জবাবে অসন্তুষ্ট হলে নাকি ‘হলুদ কার্ড’ দেখাবে পরিষদীয় দল। তবে তার আগে গোপনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঠিক কোন ‘বৈধ কারণে’ তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দলীয় প্রস্তাবের আলোচনা ও ভোটাভুটিতে অংশ নেন নি।
দলের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দলকে না জানিয়ে অধিবেশনে গরহাজির বিধায়কদের নামের তালিকা মুখ্যসচেতকের কাছে চেয়েছি। প্রত্যেককে ডেকে জানতে চাইব, সভায় হাজির থাকতে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন? জবাবে সন্তুষ্ট না হলে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।’
এবার বিধানসভার অধিবেশন শুরুর প্রথমদিনেই পরিষদীয় দলের বৈঠকে সমস্ত বিধায়কদের কার্যত সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। অন্যান্য সমস্ত কাজ ফেলে সবাইকে প্রতিদিন বিধানসভায় পুরো সময় হাজির থাকতেই হবে। এটা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ বলে সভায় উল্লেখ করেছিলেন স্বয়ং পরিষদীয় মন্ত্রী। একই রকম মন্তব্য করেন দলের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরাও।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে যেদিন শাসকদলের তরফে বিধানসভায় ইডি-সিবিআই নিয়ে প্রস্তাব এল, ভোটাভুটি হল সেদিনই ২৭ জন তৃণমূল বিধায়ক সভায় গরহাজির। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং সভায় দীর্ঘক্ষণ থাকলেও দলের ২১৬ জন বিধায়কের মধ্যে ১৮৯ জন হাজির ছিলেন। বিজেপির দাবি মেনে ভোটাভুটি শেষ হতেই প্রশ্ন উঠে বাকিরা কোথায়?