বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘ডিয়ার (ভাইপো) লটারির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতাদের সম্পর্ক রয়েছে। এর মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করে চলেছে শাসক দল’, বিতর্ক উস্কে দিয়ে এদিন চঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকি, এ সকল ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জড়িত বলে দাবি করেছেন শুভেন্দুবাবু।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর এহেন দাবি এই প্রথম নয়, এর আগেও ডিয়ার লটারির সঙ্গে শাসকদলের যোগসূত্র রয়েছে দাবি তোলেন বিজেপি নেতা। একইসঙ্গে অমিত শাহকে একটি চিঠি পর্যন্ত দেন তিনি।
কি কারণে এই অভিযোগ শুভেন্দুর? উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুর দিকে ডিয়ার লটারির প্রথম পুরস্কার হিসেবে ১ কোটি টাকা জয়লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল ,যে ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা বাংলায়। বর্তমানে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত আর এর মাঝেই সম্প্রতি পুনরায় একবার ডিয়ার লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হয়েছেন জোড়াসাঁকোর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিকা। এ ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর গলায় উচ্ছ্বাস ধরা পড়লেও পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
ডিয়ার লটারি প্রসঙ্গে এদিন ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “ডিয়ার (ভাইপো) লটারির সাথে শাসকদল তৃণমূলের সরাসরি সম্পর্ক আছে একথা আমি বরাবর বলে এসেছি। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ ই বেশীর ভাগ লটারি কাটেন তাদের অর্থনৈতিক ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়। কিন্তু টিকিট সাধারণ মানুষ কাটলেও লটারির জ্যাকপট পুরষ্কারের অঙ্ক কিন্তু তোলামূলী নেতাদের জন্য সংরক্ষিত। আগেও জানা যায় যে অনুব্রত মন্ডল ডিয়ার (ভাইপো) লটারির প্রথম পুরস্কার; ১ কোটি টাকা জিতেছেন, এখন আবার দেখছি গতকাল তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী প্রথম পুরস্কার; ১ কোটি টাকা জিতেছেন। সত্যি তৃণমূল নেতাদের ভাগ্য বটে, ডিয়ার (ভাইপো) লটারির প্রথম পুরস্কার একেবারে বাঁধা।”
শুভেন্দুর দাবি, “আসলে এই লটারির আড়ালে পশ্চিমবঙ্গে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হচ্ছে। এই বিষয়ে গত বছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাননীয় শ্রী অমিত শাহ জী কে বিস্তারিত জানিয়ে আমি একটি চিঠিও দিয়েছিলাম। তখন এই সব খবর প্রকাশিত হয় নি।”
পরবর্তীতে বাংলার মানুষের দুর্ভোগের কথা তুকে ধরে তিনি লেখেন, “গোটা পশ্চিমবঙ্গে যেদিকেই আপনি তাকাবেন বাস স্ট্যান্ড বাজার, পাড়ার মোড়ে, দেখবেন একটি ছোটো টেবিল আর চেয়ার সাথে লটারি নিয়ে এজেন্টরা বসে আছে। সাধারন খেটে খাওয়া দরিদ্র শ্রেনীর মানুষ রাতারাতি কোটিপতি হবার প্রলোভনে পা দিচ্ছেন, তাদের কষ্টার্জিত অর্থে এই লটারি কিনে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন যা যথেষ্ট উদ্বেগের। আর দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের এক শ্রেনীর নেতারা সেই অর্থে লাভবান হচ্ছেন। তৃণমূল নেতাদের কালো টাকা সাদা করার পন্থা হলো ডিয়ার (ভাইপো) লটারি।”